পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক ঃ রবিবার সপ্তাহের প্রথম দিনের লেনদেন শেষে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়লেও সূচক কমেছে। অপরদিকে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। কিন্তু অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমলেও স্টক এক্সচেঞ্জটিতে সূচক বেড়েছে। তবে এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে না ধরনের সংশয় দেখা দিয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২১টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির, কমেছে ১১৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির দর।
বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়লেও দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) কমেছে ৩১.৮০ পয়েন্ট। সূচক কমার এ হার ০.৬৮ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১.৫০ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ০.৫৯ পয়েন্ট।
অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৪টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮ টির, কমেছে ১২৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। দর হারানো কোম্পানির সংখ্যা বেশি হলেও স্টক এক্সচেঞ্জটির ৫টি সূচকই বেড়েছে। এর মধ্যে সিএসইএক্স ৩.৩৬ পয়েন্ট, সিএসই৫০ সূচক .৭৮ পয়েন্ট, সিএসই৩০ সূচক ৪০.৫১ পয়েন্ট বেড়েছে।
সাধারণত, শেয়ারের দর বাড়লে সূচকও বাড়ে। আবার দর কমলে সূচকও কমে। তবে ডিবেঞ্চচার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ডের দর বাড়া বা কমার সঙ্গে সূচকের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ, সূচক গণনায় এদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।
তবে রবিবার দেশের উভয় বাজারে সূচকের ব্যতিক্রমী আচরণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা ধরনের সংশয় সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তাদের অনেকেই মনে করছেন, কারিগরি ত্রুটি বা অন্য কোনো কারণে সূচকের ভুল হিসাব গণনা হচ্ছে। স্টক এক্সচেঞ্জে ফোন করে অনেক বিনিয়োগকারী সূচক গণনার বিষয়টি জানতে চেয়েছেন।
রবিবার ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ৯.৮৯ শতাংশ, সাভার রিফ্র্যাকটরিজের ৯.৮৫ শতাংশ, বিডি অটোকারের ৯.৭৭ শতাংশ, কে অ্যান্ড কিউর ৯.৬৯ শতাংশ দর বেড়েছে। ডিএসইতে এ ধরনের স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর দরই বেড়েছে বেশি।
কিন্তু ডিএসইতে ৫০ কোটি টাকার বেশি বড় মূলধনী কোম্পানিগুলো নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ সূচক কমেছে মাত্র ০.৫৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ ১ পয়েন্টেরও কম পতন হয়েছে এ সূচকটির। ফলে সূচক গণনা নিয়ে সংশয়মুক্ত হতে পারেছেন না বিনিয়োগকারীরা।
প্রসঙ্গত, সূচক গণনায় ভুলের কারণে পুরনো সূচক বাদ দিয়ে ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে ডিএসইএক্স ও ডিএস৩০ নামে দুটি সূচক চালু করেছিল ডিএসই। পরবর্তীতে শরিয়াহ সূচক নামে আরও একটি সূচক চালু করে তারা।
এদিকে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো রবিবারও ডিএসইতে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৯ কোটি টাকা বেড়ে দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৪২৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে এমারল্ড অয়েল। দিনশেষে কোম্পানিটির ২৫ কোটি ৮৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ারের লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। ১৫ কোটি ৮২ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল, আইটি কনসালটেন্টস, ইফাদ অটোস, ঢাকা ডাইং, সিএমসি কামাল, ইউনাইটেড এয়ার, সাইফ পাওয়ারটেক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।