পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শফিউল আলম : ভূমিকম্পের সক্রিয় বলয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের অবস্থান। বৃহত্তর চট্টগ্রামে রিখটার স্কেলে ৭ বা ততোধিক মাত্রার শক্তিশালী ভূ-কম্পনের আশঙ্কা রয়েছে। বড় ধরনের ভূমিকম্পে চট্টগ্রামে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ ভূস্তরে ৪টি বিপজ্জনক ফাটল লাইন রয়েছে, যা প্রবল ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কার দিকনির্দেশ করে। অতীতেও এ অঞ্চলে ভয়াবহ মাত্রায় ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকি, আশঙ্কা থাকলেও জনসাধারণের মাঝে এর বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা ও প্রাক-প্রস্তুতি, উদ্ধার সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষিত জনবলের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম এখনও অনেক পেছনে। বরং ভূমিকম্প নিয়ে রয়েছে নিছক ভয়-ভীতি আর আতঙ্ক। ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে দিনক্ষণ-সময় সুনির্দিষ্ট করে পূর্বাভাস দেয়া আজও সাধ্যের বাইরে। তবে ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগত কিছু আলামত ভূমিকম্পের আলামত বহন করে। তাৎক্ষণিক বা মুহূর্তে ঘটমান এই দুর্যোগ থেকে জীবন রক্ষার জন্য সর্বপর্যায়ে প্রাক-প্রস্তুতি ও গণসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। ত্রুটিপূর্ণ ও অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত বসতঘর ভূমিকম্পের সময় মৃত্যুফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়। সারাদেশের মধ্যে চট্টগ্রাম এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অনেকগুলো ভূ-ফাটল লাইন, ভূমিকম্পের উৎসস্থল (ইপি সেন্টার) চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে কাছাকাছি অবস্থানে সক্রিয় রয়েছে। সর্বশেষ গত বুধবার রাতে রিখটার স্কেলে ৬.৯ (ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে ৭ অথবা ৭.২) অর্থাৎ প্রবল মাত্রায় যে ভূমিকম্পটি সংঘটিত হয় তার উৎপত্তিস্থল চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ১৭০ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় চট্টগ্রামে ভূকম্পনের তীব্রতা তথা ঝাঁকুনি ছিল তুলনামূলক বেশি।
ভূমিকম্পের ঝুঁকি ও বিপদ প্রসঙ্গে সাদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগীয় প্রধান ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম আলী আশরাফ বলেন, ভূমিকম্পে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার বেল্ট বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ভূ-পাটাতনের (টেকটোনিক প্লেট) একটি ফাটল বা ফল্ট লাইন চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকূল হয়ে আন্দামান পর্যন্ত চলে গেছে। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত ও ত্রুটিপূর্ণ নগরায়ণ ভূমিকম্প দুর্যোগে বিপদের প্রধান কারণ। এ অঞ্চলে মাঝারি-শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে অধিকাংশ ভবন টিকবে না। চট্টগ্রাম শহরের ৭০ ভাগ ভবন ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারেÑ এটি চুয়েটের এক গবেষণায় বলা হয়েছে।
খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির (সিডিএমপি) আওতায় দেশে প্রথমবারের মতো পরিচালিত একটি ডিজিটাল জরিপের ফলাফলে আইন লঙ্ঘন করে নির্মিত, ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘর, বহুতল ভবন সম্পর্কে নাজুক চিত্র বেরিয়ে এসেছে। সিডিএমপি’র জরিপ মতে, বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ১ লাখ ৮০ হাজার ভবনের মধ্যে ১ লাখ ৪২ হাজার বাড়িঘর, ব্যবসা-বাণিজ্যিক ভবন ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ। রিখটার স্কেলে ৭ থেকে ৮ মাত্রার মধ্যে ভূমিকম্প সংঘটিত হলে সেসব ভবন কম-বেশি বিধ্বস্ত হতে পারে। চট্টগ্রামে অপরিকল্পিত ও যথেচ্ছভাবে, গুরুতর ত্রুটিপূর্ণ উপায়ে যেনতেন প্রকারে নির্মিত বাড়িঘর, ভবনের হার শতকরা ৭৮ ভাগ। ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নকশা লঙ্ঘন করে অপরিকল্পিত, ত্রুটিপূর্ণভাবে এসব বাড়িঘর ও ভবন নির্মিত হয়েছে। জনসংখ্যার অব্যাহত চাপে ক্রমবর্ধিষ্ণু চট্টগ্রাম মহানগরীতে অপরিকল্পিত, দুর্বল-ভঙ্গুর, কারিগরি নির্মাণ-ত্রুটি ও ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িঘরসহ বিভিন্ন ধরনের ভবনের হার দেশের অন্যান্য শহর নগরের তুলনায় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ড. এএসএম মাকসুদ কামাল উক্ত জরিপ তদারক করেন।
এদিকে ভূকম্প-প্রবণ জোনে অবস্থানের কারণে ভূমিকম্পের জন্য চট্টগ্রামকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রবল শক্তিশালী ভূমিকম্প চট্টগ্রাম মহানগরীর ১ লাখ ৪২ হাজার ভবন ধসে পড়া কিংবা কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়াও অনেক জায়গায় অগ্নিকা- সংঘটিত হতে পারে। ভূমিকম্পে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চট্টগ্রাম কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের সাম্প্রতিক জরিপ রিপোর্ট অনুসারেও ভূস্তরের পাটাতনে ফাটলের কারণে ইউরোশিয়ান ও ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের ভূমিকম্পের জোনের মধ্যেই রয়েছে চট্টগ্রাম। এ প্লেট দু’টি অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ কারণে ইদানীং ঘন ঘন হালকা থেকে মাঝারি মাত্রায় ভূমিকম্প হচ্ছে। ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট (ডিসিসি) নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপে বলা হয়, চট্টগ্রামের গভীর ভূ-স্তরে ৪টি ফাটল বিপজ্জনক। সেগুলো সচল হলে যে কোন সময় প্রবল ভূমিকম্প হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সীতাকু- এলাকা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, নগরীর খুলশী, মোহরা, মদুনাঘাট এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। ভূগর্ভে বিপজ্জনক ফল্ট বা ফাটল লাইন রয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলে। যেমন সীতাকু--টেকনাফ ফল্ট বা ভূফাটল লাইন এবং রাঙ্গামাটির বরকল ফল্ট। চট্টগ্রামের মীরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ ভূ-ফাটল লাইন থেকে যে কোন সময় ৬ বা এর ঊর্ধ্বমাত্রায় ভূমিকম্প হতে পারে। চট্টগ্রামে সাম্প্রতিককালে সংঘটিত ভূমিকম্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটে ১৯৯৭ সালের ২১ নভেম্বর। তখন নগরীর কেন্দ্রস্থল হামজারবাগে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত একটি পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবন ‘সওদাগর ভিলা’ ধসে গিয়ে ২৫ জন নিহত হয়। ১৯৯৯ সালের ২২ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত মহেশখালী ভূমিকম্প, ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত রাঙ্গামাটির বরকল ভূমিকম্প উল্লেখযোগ্য।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রাম ও এর আশপাশে, নগরীর পুরনো এলাকাগুলোতে জরাজীর্ণ বাড়িঘর এবং অন্যান্য জায়গায় নির্মিত অপরিকল্পিত, কারিগরি বিবেচনায় নির্মাণকাজে মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ এমনকি নিম্নমানের বহুতল আবাসিক ও অফিস, ব্যবসা-বাণিজ্যিক ভবনের প্রকৃত সংখ্যা সিডিএমপি’র জরিপে বর্ণিত সংখ্যার চেয়েও আরও অনেক বেশি হতে পারে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবানসহ বেশক’টি শহর ও শহরতলীতে নির্বিচারে পাহাড় টিলা কেটে খুঁড়ে ধ্বংস, গাছপালা সাবাড় করে ফেলে অথবা পুকুর, দীঘি ভরাটের মাধ্যমে রাতারাতি বাড়িঘর, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন, কল-কারখানা স্থাপন করা হয়েছে ও তা অব্যাহতভাবে চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূগর্ভের শক্তি নিঃসরণের মাত্রা বা চাপের উপর নির্ভর করে ভূমিকম্পের মাত্রা এবং এর ফলে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কী হতে পারেÑএ বাস্তবতার আলোকে ভারতসহ ভূকম্পন-প্রবণ অঞ্চলের দেশসমূহ ভূমিকম্প সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং যাবতীয় নির্মাণকাজে ভূমিকম্প প্রতিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। কিন্তু বাংলাদেশ এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ পিছিয়ে রয়েছে। এমনকি নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছেন নীতিনির্ধারকরা। ভূমিকম্পের সম্ভাব্য দুর্যোগে জরুরী করণীয় নির্ধারণ, যথাযথ আগাম প্রস্তুতি, যুগোপযোগী প্রয়োজনীয় যান্ত্রিক সরঞ্জাম ব্যবহার, প্রশিক্ষিত পর্যাপ্ত উদ্ধারকর্মী গড়ে তোলা ইত্যাদি উদ্যোগের অভাব অত্যন্ত প্রকট ও নাজুক পর্যায়ে রয়ে গেছে। ভূমিকম্পের বিপদ সম্পর্কে ব্যক্তি ও সামষ্টিক পর্যায়ে করণীয় সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতার দিকটিও অবহেলিত।
তীব্র ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় পাকা ও মাটির বাড়িঘর, বিভিন্ন ভবন, বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল-মাদরাসা ভবন কমবেশি বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ, সেতু, ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন নাগরিক স্থাপনা ও অবকাঠামো ধসে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তার নিচে শোচনীয়ভাবে অনেকে আটকে পড়ে জীবনহানির শঙ্কা থাকে। বিধ্বস্ত ভবন বা ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে থাকলেও অনেকেই অক্ষত অবস্থায় থেকে দীর্ঘসময় জীবিত থাকতে পারেন। চাপা পড়া মানুষজনকে দ্রুত ও অক্ষত উদ্ধারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক উদ্ধার যন্ত্রপাতি, সাজ-সরঞ্জাম, বিশেষায়িত হেলিকপ্টার, সাউন্ড মনিটর, ইলেকট্রিক শাবল, ড্রিল মেশিন, বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য ভারী মই, ক্রেন, স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ার, মুভার প্রভৃতি জরুরী উদ্ধার সরঞ্জাম ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে। সম্ভাব্য তীব্র মাত্রার ভূমিকম্পে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে জানমালের অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এরজন্য যান্ত্রিক সরঞ্জামের জরুরি প্রয়োজন রয়েছেÑ বুলডোজার, ফর্কলিফট, ট্রাক্টর, চেইনপুলি, পাওয়ার শোভেল, ব্রেকডাউন ভ্যান, প্রাইম মুভার, মোবাইল জেনারেটর, হেভি জ্যাক, ওয়েইটবল প্রভৃতি। কিন্তু চট্টগ্রাম নগরীতে ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোর কাছে এ ধরনের উদ্ধার সরঞ্জাম রয়েছে আংশিক। প্রশিক্ষিত জনবল খুবই অপ্রতুল।
বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী এম আলী আশরাফ জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীতে অবস্থিত স্কুল বিশেষত কেজি স্কুল ভবনগুলো অত্যন্ত দুর্বল অবকাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ভূমিকম্পে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝুঁকির ক্ষেত্রে খুবই নাজুক অবস্থায় পড়বে। এসব ভবনে ঝুঁকির হার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। যদি দিনের বেলায় রিখটার স্কেরে ৭ বা তদুর্ধ্ব মাত্রায় ভূমিকম্প সংঘটিত হয় তাহলে চট্টগ্রামে কম-বেশি ৭০ শতাংশ স্কুল ধসে যেতে পারে। এর ফলে স্কুল-মাদরাসার শিশু-কিশোরদের অপ্রত্যাশিত ও করুণ প্রাণহানির মাত্রা হতে পারে অকল্পনীয়। চট্টগ্রাম নগরীতে গড়ে ওঠা ভূমিকম্প প্রতিরোধক ব্যবস্থাবিহীন ভবনগুলো বিশেষ করে স্কুল ভবনসমূহ অনতিবিলম্বে চিহ্নিত করে সেগুলোর কারিগরি নিয়মে শক্তি বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এর ফলে ভূমিকম্পে জানমালের ক্ষতির মাত্রা যথেষ্ট কমে আসবে।
সিডিএমপি’র বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, অগ্নিকা-, মাঝারি থেকে প্রবল ভূমিকম্প, ভূমিধস সহ যেকোন দুর্যোগে চট্টগ্রাম মহানগরীতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসার লাইনে বিপর্যয়ের সম্ভাব্য প্রভাব-প্রতিক্রিয়া নিরূপণের চেষ্টা চালানো হয় প্রথমদফায় পারিচালিত জরিপে। এতে বলা হয়েছেÑ এধরনের বিপর্যয় কিংবা দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, আনসার, সিটি কর্পোরেশন কিংবা পৌর কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত বিভাগের নানামুখী সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা বর্তমানে খুবই নাজুক পর্যায়ে রয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের অনেক এলাকায় সড়ক, রাস্তাঘাট সংকীর্ণ ও নিত্য যানজটে অচল সড়ক, অলিগলিতে উদ্ধারকাজ পরিচালনা দুরূহ কাজ। সিডিএমপি জরুরি উদ্ধার কাজের জন্য যান্ত্রিক সরঞ্জাম সংগ্রহ, প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলার জন্যও সুপারিশ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।