পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি আছে, থাকবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে, আমি এখনো আশা করি। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে তিন সিটি নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি। এই সভায় পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, সেই নির্দেশনাই আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় দিয়েছে ইসি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথাও ইসি শুনেছে। সবার আশা, সুষ্ঠুভাবে এই তিন সিটির নির্বাচন করা সম্ভব হবে। বাড়তি কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার হবে না।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে হুদা বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে তিন সিটি নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি সঠিক আছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ সর্ম্পকে এক প্রশ্নে সিইসি বলেন, অভিযোগ আসতে পারে। অভিযোগ সঠিক কি না, তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছাড়া তারা জাতীয় নির্বাচনে যাবে না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা (খালেদা জিয়ার মুক্তি) আদালতের বিষয়। আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্ঠা চালাবে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী। জাতীয় নির্বাচনের আগে তিন সিটির এই ভোটকে ঘিরে কোনো ধরনের অস্থিতীশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কোনো আশঙ্কা অবশ্য এই মুহুর্তে দেখছেন না বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা। তারা নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করার কোনো সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না বলেও ইসিকে আস্বস্ত করেন।
সিইসির সভাপতিত্বে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম, ইসি সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারি, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, ডিজিএফআই এর প্রধানরা যোগ দেন।
আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকের শুরুতেই সিইসি উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলেন, এখন থেকে দুই মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রক্রিয়ার দিকে যাব। সুতরাং সেই প্রস্তুতির পূর্বকালে এই তিন সিটি নির্বাচন আমাদের নির্বাচন কমিশন, মাঠপর্যায়ে যারা এই নির্বাচন পরিচালনা করবেন এবং এই নির্বাচনে সহায়তাকারী সব কর্মকর্তাসহ সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়, সেই নির্দেশনাই আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথাও ইসি শুনেছে। সবার আশা, সুষ্ঠুভাবে এই তিন সিটির নির্বাচন করা সম্ভব হবে। বাড়তি কোনো ব্যবস্থা নেয়ার দরকার হবে না। আইন শৃঙ্খল বাহিনীর কর্মকর্তারা তাকে জানিয়েছেন আগামী ৩০ জুলাইয়ের ভোট নিয়ে কোনো কোনো রকমের ঝুঁকি বা আশঙ্কা নেই।
গত ২৬ জুন গাজীপুর ও ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষপাতের অভিযোগের বিষয়েও কথা বলেন সিইসি। তিনি বলেন, অভিযোগ আসবে, তবে এটার সত্যতা কতটুকু সেটা যাচাই করতে হবে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কী হয়েছে, তার তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কী জানিয়েছেন- এমন প্রশ্নে জবাব সিইসি বলেন, সেই রিপোর্ট এখনও পায়নি কমিশন। পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জুলাই তিন সিটিতে ভোট অনুষ্টিত হবে। এখন চলছে প্রার্থীদের ভোট প্রার্থনা ও প্রচারণা। তবে, প্রচারণার শুরুতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ শুরু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।