পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (প্রথম রাউন্ড) আগামীকাল শনিবার ১৪ই জুলাই। ওই দিন সারা দেশে দুই কোটির বেশি শিশুকে ভিটামি এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। গতকাল সচিবালয় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান। তিনি আরো বলেন, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল চার ফোঁটা ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ৮ ফোঁটা খাওয়ানো হবে।
জাতীয় ভিটামি ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশব্যাপী ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ শিশুকে এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৪ লাখ ৫ হাজার ২৫ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইন চলবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে যখন এই কার্যক্রম গ্রহণ করেন তখন ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর হার উন্নীত করার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচেই রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, একই সঙ্গে শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানোসহ অন্যান্য পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে। ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে শিশু যে শুধুমাত্র রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায় তা নয়, এ ছাড়াও ভিটামিন এ’ শিশুদের আরও বহুবিধ উপকার করে, যেমন-শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে; দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখে; শিশুর মৃত্যুর হার কমায়; শিশুর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠা নিশ্চিত করে; ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল এবং হামের জটিলতা কমায় ইত্যাদি। তিনি বলেন, আমরা আর অপুষ্ট শিশুকে দেখতে চাই না। তেমনি চাই না অপুষ্টি জনিত রাতকানা রোগ কিংবা অন্ধত্ব। অন্ধত্ব একটি পরিবারে জন্য অভিশাপ তথা একটি দেশের জন্য বোঝা। বছরে ২ বার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে পারি; শিশুর দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারি এবং শিশুর মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ কমিয়ে আনতে কাজ করে এ ক্যাপসুল। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় দেশব্যাপী এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত আরো ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে দুর্গম এলাকা এই ক্যাম্পেইন পরবর্তী ৪ দিন (১৫-১৯ জুলাই) ১২ টি জেলার ৪২টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি যেয়ে শিশুদের সার্চিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ৬ মাসের কম বয়সী, ৫ বছরের বেশী বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকেও ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো যাবে না।
ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রথমবারের মত ঢাকার বাইরে পাবনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হবে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করবেন। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।