পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটের কচুয়ায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পান্তা-ইলিশ খেয়ে অসুস্থ হয়ে ২২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কচুয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় লেডিস ক্লাবে খাবার খাওয়ার পর তারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের মধ্যে সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীও রয়েছে।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগীরা জানান, পহেলা বৈশাখে র্যালি শেষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে লেডিস ক্লাবে পান্তা ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে বাড়িতে ফিরে যান। পরে পেটে ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি হন।
হাসপাতালে ভর্তিকৃতরা হলেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বুলু (৪০), প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদকের স্ত্রী সিনিয়র শিক্ষক শিরিনা খানম (৪৬), উপজেলা প্রশাসনের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী মহিদুল ইসলাম দিদার (৪৫), দেলোয়ার হোসেন (৩৩), শিক্ষার্থী বর্নালী হালদার (১৪), সাইদা (৬), ফাহমিদা (৭), মিম (১৩), জেসিকা (১০), তামিম শিকদার (১০), সৈকত (১৩), সাহিনুর (১২), আলআমিন (২১), বনি আমিন (৪৫), আল আমিন (৪৪), নুপুর (৪০), মিনা (৩৫), জোবেদা (৪৫), মফিজুল ইসলাম (৩৫), মর্জিনা বেগম (৩০), শামিমা (১৫), কাওসার (৩০)।
উপজেলা প্রশাসনের এই পান্তা ইলিশের আয়োজনের সাথে ছিলো, ডাল, আলু ভর্তা, চিংড়ি ভর্তা, বেগুন ভাজা।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পেট ব্যথা ও ডায়রিয়ার সমস্যাজনিত কারণে ২২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে রোগী ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতলে থেকে তারা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেনা। স্যলাইন, ইনজেকশনসহ বিভিন্ন ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেবার কথা থাকলেও তা পাওয়া যাচ্ছেনা। বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ২২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতাল থেকে তাদের সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীদের বাইরে থেকে স্যলাইন কেনার বিষয়ে তিনি বলেন ,তাৎক্ষণিক হয়তোবা স্যালাইন কিনতে হয়েছে। তবে আমরা জরুরি তহবিল থেকে স্যলাইন সরবরাহ করছি।
এবিষয়ে, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুর রশিদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করো হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।