বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। তবে ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে ইভান পেরেসিচের বুদ্ধিদীপ্ত গোলে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। তবে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ১০৯ মিনিটে মারিও মানজুকিচের গোলে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে নাম লেখায় ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের ৫ম মিনিটেই দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক থেকে ইংলিশদের এগিয়ে দেন কারেন ট্রিপিয়ার। ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে কিরান ট্রিপিয়ারের ফ্রি-কিক ঠেকানোর সুযোগই পাননি গোলরক্ষক দানিয়েল সুবাসিচ। জাতীয় দলের হয়ে এটাই টটেনহ্যাম হটস্পার ডিফেন্ডারের প্রথম গোল।
এরপর বেশ কিছু অাক্রমণ শানালেও গোলের দেখা মেলেনি ক্রোয়াটদের। উল্টো ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলো ইংল্যান্ডই। ২২তম মিনিটে ইভান স্ত্রিনিচের ভুল পাসে বড় বিপদে পড়তে পারতো ক্রোয়েশিয়া, তবে রাহিম স্টার্লিংয়ের বাড়ানো বল ধরার সময় হ্যারি কেইন অফসাইডে থাকায় যে যাত্রা বেঁচে যায় ক্রোয়াটরা।
আধ ঘণ্টার মাথাতেও বড় বাঁচা বাচে ক্রোয়েশিয়া। ডি-বক্সে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও রাশিয়া বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হ্যারি কেইন দুর্বল শট মারেন গোলরক্ষক বরাবর।
বিরতির পর মরিয়া হয়ে আক্রমণে উঠে ৬৫তম মিনিটে গোলের সুযোগ পায় ক্রোয়েশিয়া। ডি-বক্স থেকে ইভান পেরিসিচের শট ফেরে রক্ষণে দুই জনের গায়ে লেগে। তবে তিন মিনিট পর ডান দিক থেকে শিমে ভারসালকোর ক্রসে পা অনেক উঁচিয়ে বল জালে পাঠান পেরিসিচ (১-১)।
চার মিনিট পর ভাগ্যের সহায়তায় বেঁচে যায় ইংল্যান্ড। পেরিসিচের শট পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিলেও বল পোস্টে লেগে ফিরে।
৭৬ মিনিটে লিনগার্ডের শট একটুর জন্য চলে চলে যায় পোস্টের পাশ ঘেঁষে। ৮৩ মিনিটে মারিও মানজুকিচের শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন পিকফোর্ড।
৮৪ মিনিটে আবার পেরিসিচের সুযোগ, এবার গোলরক্ষক এগিয়ে আসতে দেখে চিপ করেছিলেন। কিন্তু পোস্টে রাখতে পারেননি।
আর কোন বিপদ না হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের কোঠায়।
ম্যাচটির জন্য দল অপরিবর্তিত রেখেছিলেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ইতিহাসে চোখ রেখে ক্রোয়েশিয়া দলে ছিল একটি পরিবর্তন। ফরোয়ার্ড আনদ্রেই ক্রামারিচের জায়গায় মিডফিল্ডার মার্সেলো ব্রজোভিচকে দলে এনেছিলেন কোচ জ্লাতকো দালিচ। হাঁটুর চোট কাটিয়ে ওঠা ডিফেন্ডার শিমে ভারসালকোর ম্যাচের জন্য ফিট হয়ে ওঠাটাও ছিল ক্রোয়াটদের জন্য দারুণ সুখবর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।