পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দারিদ্র্য দূরীকরণ করে সুস্থ্য জাতি গঠন এবং নারীর ক্ষমতায়নে পরিবার পরিকল্পনার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে তরুণ ও কর্মক্ষম জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ। অর্থাৎ বর্তমানে বাংলাদেশ পপুলেশন ডিভিডেন্টের সুবর্ণ যুগে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এটি একটি বিরল সুযোগ। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিশিষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্পিকার বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০১৮ এর শুভ উদ্বোধন করেন। অনুুষ্ঠানে তিনি মাঠ পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা কর্মী, শ্রেষ্ঠ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি পরিবার পরিকল্পনা মেলা-২০১৮ উদ্বোধন করেন এবং মেলার বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে এবং একটি সন্তান জন্মের কত বছর ব্যবধানে অন্য একটি সন্তান ধারণ করেব নারী, সে ক্ষেত্রে নারীর সিদ্ধান্তকেই প্রধাণ্য দিতে হবে। নারীদের জন্য এটা কোন সুযোগ নয়, এটা তাদের অধিকার। এ অধিকার প্রদানে নারীকে সুযোগ দিলে দেশ দ্রæত এগিয়ে যাবে।
স্পিকার বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এমডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) পূরণেও সক্ষম হবে।
স্পিকার বলেন, বর্তমানে বিশ্বে জনসংখ্যা প্রায় ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন। বিপুল জনসংখ্যার বিপরীতে সীমিত সম্পদ দিয়ে বিশ্বে জনসংখ্যার সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা কঠিন কাজ। স্পিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিবার পরিকল্পনার সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রসারিত করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের আহবান জানান।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জি এম সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোয়ার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, ইউএনএফপি’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. আশা টরকেলসন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।