বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
নিজের খেলাটা দেখাতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপে, অাঁতোয়ান গ্রিজমানরা। আলোকিত দিনগুলো পেছনেই রয়ে গেল এডেন হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইন, রোমেলো লুকাকুদের। তাদের নিষ্প্রভতায় পাদপ্রদীপের আলোয় স্যামুয়েল উমতিতি। তার একমাত্র গোলেই দুই আসর পর আবারও স্বপ্নের ফাইনালে ফ্রান্স।
সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম সেমিফাইনালে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ১৯৯৮ বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আগামী ১৫ জুলাই মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের বিজয়ী দল।
স্বপ্নের ফাইনালের লড়াই। শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকছে কে তা জানার অপেক্ষা পালা প্রায় শেষের দিকে। প্রথম সেমিফাইনালের দুই প্রতিপক্ষ তারুণ্য নির্ভর ফ্রান্স মুখোমুখি হয় হালের সাড়া জাগানো দল বেলজিয়ামের। দুই দলই দুর্দান্ত ফুটবল খেলছে পুরো আসর জুড়েই।
তবে এদিন শুরু থেকেই বল দখল আর আক্রমণের এগিয়ে থাকা বেলজিয়াম গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ১৫তম মিনিটে। কেভিন ডে ব্রুইনের পাসে ডি-বক্স থেকে এদেন আজারের কোনাকুনি শট দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। দুই মিনিট পর অপর প্রান্তে ব্র্রেইস মাতুইদির শট আস্থার সঙ্গে গ্লাভসে নেন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া।
পরের মিনিটে আবারও ডি-বক্স থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন আজার। ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে কোনোমতে মাথা লাগানোয় বল ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।
২২তম মিনিটে দুর্দান্ত সেভে বেলজিয়ামকে গোলবঞ্চিত করেন হুগো লরিস। কর্নার থেকে বল পেয়ে ডি-বক্স থেকে টবি আল্ডারভাইরেল্ডের আচমকা শট ফেরান ডানে ঝাঁপিয়ে।
৩৯তম মিনিটে দারুণ সেভে ফ্রান্সকেও গোল করতে দেননি কর্তোয়া। কিলিয়ান এমবাপের বাড়ানো বল ধরে বাঁজামাঁ পাভার্দের কোনাকুনি শট ঠেকান পা বাড়িয়ে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও ছিল বেলজিয়ামের। কিন্তু প্রথম সুযোগেই গোল পেয়ে যায় ফরাসিরা। গ্রিজমানের কর্নারে লাফিয়ে উঠে হেডে কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান বার্সেলোনার ডিফেন্ডার উমতিতি।
চার মিনিট পর এমবাপের দারুণ ব্যাকহিলে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন অলিভিয়ে জিরুদ। তবে গোলের দেখা পাননি আর্সেনালের এই ফরোয়ার্ড।
বদলি হিসেবে নেমেই ড্রিস মের্টেন্স সমতা ফেরানোর দ্রুত দুটো সুযোগ তৈরি করেছিলেন। ৬১তম মিনিটে তার কাছ থেকে বল পেয়ে ঠিকমতো ভলি নিতে মারেননি অনেকটা ফাঁকায় থাকা ডে ব্রুইনে। আর চার মিনিট পর মের্টেন্সের ক্রসে মারোয়ান ফেলাইনির হেড পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়।
৮১তম মিনিটে আক্সেল উইতসেলের বাঁক খাওয়া শট ফিরিয়ে আবারও ফ্রান্সের ত্রাতা লরিস।
যোগ করা ছয় মিনিটে গ্রিজমান আর কোরোঁতাঁ তোলিসোর দুটো শট ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়াতে দেননি কোর্তোয়া।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে সবশেষ ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল ফরাসিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।