পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতেই জেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, একটি সুদূরপ্রসারী নীলনকশার মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের একটিই টার্গেট- বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে হবে। কি অপরাধ তাঁর (খালেদা জিয়া)? অপরাধ হল তিনি বাংলাদেশের মানুষের কথা বলেন। বঞ্চিত-নিপীড়িতের অধিকারের কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন। একই সঙ্গে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দেখতে চান। সেই অপরাধে সাজানো মামলাগুলো দিয়ে, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কারাবন্দি করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা যদি মেমোরি ঝাঁলিয়ে নেন দেখবেন তথ্যমন্ত্রী একটি কথা সবসময় বলেন- রাজনীতিকে খালেদা জিয়া মুক্ত করতে হবে। তিনি শুধু এই একটা কথাই বহুদিন বহু জায়গায় বহুবার বলেছেন। এ থেকেই স্পষ্ট, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে খালেদা জিয়াকে দূরে সরানোর চেষ্টা চলছে। বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীনরাও মনে করে- বেগম জিয়াকে রাজনীতিতে রাখা যাবে না।
সুদূরপ্রসারী এই নীল নকশা ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শুরু হয়েছিল জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওই সময় থেকেই একদল চক্রান্তকারী বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। যার বাস্তবায়ন শুরু হয় ১/১১ পরবর্তী সময়ে। কিন্তু আমরা সেই চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে ব্যর্থ হয়েছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১/১১’র পরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি ছিল এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা ছিল ১৫টি। দু’জনের বিরুদ্ধেই একই ধরনের মামলা ছিল। সবগুলো দুর্নীতির মামলা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ১/১১’র কুশীলবদের সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসার পরে তিনি (শেখ হাসিনা) তাঁর সবগুলো মামলা তুলে নিলেন। আর দেশনেত্রীর (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে মামলাগুলো থাকলো। পরবর্তীতে আরো অনেকগুলো ক্রিমিনার কেস যুক্ত হয়েছে। আবার একই সঙ্গে ৫টি থানায় উড়ে গিয়ে বাস পুড়িয়ে দেয়ার মতো মামলাও তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের পর যুক্ত হল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে সমাবেশ বন্ধের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্দেশনায় মনে হচ্ছে আমরা কি আইয়ুব খানের দিকে ফিরে গেলাম? আইয়ুব খানের আমলে একটি ছাত্র সংগঠন গঠিত হয়েছিল। তারাও আজকের এই ছাত্রলীগের মতো হকিস্টিক, লোহার রড গলায় জড়িয়ে সাধারণ ছাত্রদের ভয় দেখিয়ে বেড়াতো। তখন অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো (ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সংগঠনগুলো) কোনও মিটিংই করতে পারতো না। আমার মনে হচ্ছে আমরা সেই সময়ে চলে গেছি। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বিদ্যাপিঠ নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তচিন্তার পাদপীঠ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রজন্মকে পথ দেখিয়েছে। আজ সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানুষকে বেড়ি পরিয়ে দিচ্ছে, কেউ যেন কথা বলতে না পারে।
সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, আজকে যারা কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন করেছে তারা প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। একজনকে তো খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। আরেকজনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। একজনের তো দুই পা ভেঙে দিয়েছে। কাজেই এই সরকার কি ধরনের সরকার, কাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা কাজ করছে এটা বুঝার উপলব্ধিতে যেন ভুল না হয়।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে কতদিন জেলে রাখবেন। রাখতে পারবেন না। ইতিহাস তা বলে না। ইতিহাস বলে এই দেশের মানুষ সব সময় নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পক্ষে। যাকে অন্যায়ভাবে করারুদ্ধ করা হয় তাঁর পক্ষে। বেগম জিয়াকে একদিন জনগণ বের করে আনবে। কারাগার ভেঙেই বের করে আনবে। সময় ও সুযোগ মতো সেটা দেখা যাবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমাদের কাজ হলো মানুষকে জানানো। তাদের উৎসাহিত করা করা। অনেকেই মনে করেন এটা বিএনপির সমস্যা। কিন্তু এটা শুধু বিএনপির সমস্যা নয়। খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের সমস্যা নয়। এটা সমগ্র জাতির সমস্যা।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন নির্বাচন কমিশন তৈরি করার চেয়ে না করাই ভালো ছিল। এর চেয়ে সরকারি কর্মচারিদের দিয়ে নির্বাচন করানো ভালো ছিল। এই নির্বাচন কমিশনের না আছে ব্যক্তিত্ব, না আছে শক্তি, না আছে যোগ্যতা। একটা ভোট এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু করতে পারেনি। একজন সচিবকে দিয়ে সরকার নির্বাচন কমিশন চালাচ্ছে। হেলালুদ্দিন সাহেব, শুনেছি তিনি কমিশনে অফিস করেন বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর চলে যান একটি বিশেষ দলের বিশেষ কার্যালয়ে। সেখানে তাদের দলের নির্বাচনের কৌশল তৈরি হয়। যে অফিসের প্রধান এইচ টি ইমাম।
সমাবেশে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।