পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা এক মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের ওপর হাইকোর্টে পুনরায় শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আমিনুল হক। সঙ্গে ছিলেন বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, এহসানুর রহমান, ফাইয়াজ জিবরান, মাসুদ রানা, সালমা সুলতানা সোমা প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: বশির উল্লাহ।
গত ২৮ মে কুমিল্লার নাশকতার দুই মামলায় ছয় মাসের জামিন পান খালেদা জিয়া। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ জামিনের আদেশ দেন। ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে দুষ্কৃতকারীদের বাস পোড়ানোর ঘটনায় মামলা করা হয়। ২০১৭ সালের ২ মার্চ ওই মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলা বাতিল চেয়ে ২৭ মে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এর ওপর আগে দুদিন শুনানি হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে এই মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে পরে হাইকোর্টে আপিল এবং জামিন আবেদন করে খালেদা জিয়া। এরপর গত ১২ মার্চ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন। পরে সে জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। পরবর্তীতে খালেদা জিয়াকে ৬ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবীরা। তাই কারামুক্তির জন্য সব মামলায় তাকে জামিন পেতে হবে। মামলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় তিনটি ও নড়াইলে একটি এবং বাকি দুটি ঢাকার।
জিয়া চ্যারিটেবল মামলা খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ-৫-এর বিচারক এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্কের দিন ধার্য্য ছিল একই সঙ্গে তাঁর আদালতে হাজির থাকার কথাও ছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য তাঁর আইনজীবীরা জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। শুরুতে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন। মামলার আরেক আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসার বিষয়ে অবহিত করে তার হাজিরা প্রদান করেন তার আইনজীবী।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া জেলে আছেন। তিনি আসতে চান না। যার কারণে মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারছি না। উনি আসলে মামলাটা শেষ হয়ে যেত। পরবর্তীতে একটা তারিখ দিয়ে ওই তারিখে যেন খালেদা জিয়া যেন আদালতে আসেন এরকম ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন তিনি । তিনি বলেন, ১৪৫ দিনের মতো হয়ে গেছে মামলার কার্যক্রম করতে পারছি না। আমাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আগামী পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৭ জুলাই ধার্য করেন। আর ওই তারিখ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন বর্ধিত করেন। এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে জিয়া উদ্দিন জিয়া, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, নুরুজ্জামান তপন প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।