পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। অবশেষে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে রাজধানী বাড্ডার ইউলুপ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ইউলুপের নির্মাণ কাজ শেষ। এখন চলছে রঙ, রাস্তা কার্পেটিংসহ সৌন্দর্যবর্ধনের ছোট খাটো কিছু কাজ। এগুলো শেষ করতে কয়েকদিন লাগবে। আগামী মাসের প্রথম দিকে এটি উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান প্রকল্পের একজন প্রকৌশলী। নির্মাণ কাজে দীর্ঘ সময় লাগার বিষয়ে হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক (রাজউক) জামাল আখতার ভূঁইয়া বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি ইউলুপটির নির্মাণ কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করতে। নির্মাণকাজ এগিয়ে নেয়ার পর ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে মামলা হয়েছিল। মামলার কারনে নির্মাণকাজ অনেকটাই পিছিয়ে গেছে।
হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের জুনে। এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল পরের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। নির্ধারিত সময়ে কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় সে সময় প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সালের জুনের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষে এটি চালু হবে। জুন পেরিয়ে ওই বছরের ডিসেম্বর এরপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ইউলুপটি চালু করার কথাও বলেছিলেন কর্মকর্তারা।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণে সব মিলিয়ে ব্যয় হচ্ছে ৬৫ কোটি টাকা। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪০ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় বেড়েছে প্রকল্পের ব্যয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ প্রকৌশল নির্মাণ ব্যাটালিয়ন (ইসিবি)।
বাড্ডা ইউলুপটির অবস্থান রামপুরা-নতুনবাজার সড়কের মেরুল এলাকায়। ঢাকার যানজটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এটি। গত বছরের ২৫ জুন চালু হয় রামপুরা ইউলুপ। চালুর পর থেকেই এর সুফল পেতে শুরু করে রাজধানীবাসী। ইউলুপের সুবাদে রামপুরা এলাকার যানজট অনেকটাই কমে গেছে। রামপুরার মতো বাড্ডা ইউলুপটিও এ এলাকার যানজট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। হাতিরঝিল থেকে বের হয়ে ইউলুপটি ব্যবহার করে সহজেই রামপুরা-বনশ্রী-মালিবাগের দিকে যাওয়া যাবে। একইভাবে এসব এলাকা থেকে যেকোনো যানবাহন নির্বিঘে হাতিরঝিল দিয়ে কাওরান বাজার বা মগবাজারের দিকে যেতে পারবে।
ভুক্তভোগিদের মতে, বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণ কাজের ধীর গতির কারণে প্রতিদিনের সৃষ্টি হওয়া যানজটে এ পথে চলাচলকারীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তি। নির্মাণকাজের জন্য দুই লেনের গাড়িগুলোকে সরুপথে চলাচল করতে হয়। এ কারনে এ পথে যানজট ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। সেই যানজট ও ভোগান্তির অবসান হতে চলেছে জেনে সবাই খুশি। কালাম নামে নির্মাণকাজের একজন শ্রমিক বলেন, শেষ মূহূর্তে আমরা রাতদিন পরিশ্রম করেছি। এখন চলছে ধোয়ামোছাসহ রঙের কাজ। আর নিচে কিছু কার্পেটিংয়ের কাজ বাকি আছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এটি রেডি হয়ে যাবে। কাজ শেষ করতে পেরে ভালোই লাগছে জানিয়ে ওই শ্রমিক বলেন, এখানে যানজটে মানুষের যে ভোগান্তি হতো সে কথা মনে করলে কষ্ট লাগে। আর সেই ভোগান্তি হবে না। মধ্যবাড্ডার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান মজনু বলেন, নির্মাণাধীন ইউলুপের দুইদিকে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। গত প্রায় ৩ বছর ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর খারাপ অবস্থা। ইউলুপটি উদ্বোধন হলে ব্যবসার মন্দাভাব কেটে যাবে-এ আশায় এখানকার ব্যবসায়ীরা সবাই খুশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।