পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয় শত কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সদ্য সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাত থেকে আয় হয়েছে ১০২ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ছয় শতাংশ বেশি। তবে অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০৫ কোটি ৫০ লাখ। এটি মোট লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কিছুটা কম হয়েছে। শতাংশের হারে দুই দশমিক ৭৯ শতাংশ। তবে এই আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয় ছিল ৯৬ কোটি ২৪ লাখ ডলার। এ হিসাবে আয় বেড়েছে ছয় কোটি ৩১ লাখ টাকা।
ইপিবির তথ্য থেকে জানা যায়, গত অর্থবছরে কাঁচা পাট থেকে আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। পাট সুতা ও কুÐলী থেকে ৬৮ কোটি ৭৭ লাখ ডলার আয় হয়েছে। এ ছাড়া ১২ কোটি ২৮ লাখ ডলারের পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানি করা হয়েছে । পাটজাত অন্যান্য পণ্য থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৯ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। দেশে বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে মোট ২২টি পাটকল চালু রয়েছে এবং বেসরকারি খাতে প্রায় ২০০ পাটকল আছে। এর বাইরে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও রফতানি করে খাকে। এ ছাড়া বেশ কিছু হস্ত শিল্পও রয়েছে রফতানির তালিকায়।
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, পাটে নীতি সহায়তার পাশাপাশি পণ্য বৈচিত্র্যকরণে নগদ সহায়তা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু পণ্য উৎপাদন ও পণ্য বহুমুখীকরণে আমরা এখনও পিছিয়ে আছি। ফলে চাহিদা থাকার পরও পাট ও পাট পণ্য রফতানি করা যাচ্ছে না। বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে বাংলাদেশের পাট ও পাট পণ্যের চাহিদা রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, সরকার মানসম্মত পাট উৎপাদন ও পণ্য বহুমুখীকরণে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নগদ সহায়তাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।