Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশ-বিদেশের তথ্য সংগ্রহের পরে সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

দেশে-বিদেশে কোটা সংক্রান্ত যেসব তথ্য আছে এবং এ বিষয়ে কমিটি প্রতিবেদন সংগ্রহ করার পরে রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের গঠিত কমিটি।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সরকারের গঠিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে কমিটিতে সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণারয়ের যুগ্ম-সচিব (বিধি) আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বেঁধে দেওয়া ১৫ দিন সময়ের মধ্যেই তারা প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ লক্ষ্যে আগামী সাত দিনের মধ্যে কোটা সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবেন তারা। এ কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন এ সভায়।
নতুন করে আন্দোলন দানা বাঁধার প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের এই কমিটি করে সরকার। বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা বা সংস্কার বা বাতিলে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনে বর্তমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার বা বাতিলের যৌক্তিকতাসহ সরকারের কাছে সুপারিশ দিতে বলা হয় এই কমিটিকে। বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী, আগামী ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে হবে।
আবুল কাশেম বলেন, মিটিংয়ে মূলত কমিটির কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোটা সংক্রান্ত দেশে-বিদেশে যত তথ্য রয়েছে বা বিভিন্ন সময় গঠিত কমিশন বা কমিটির যেসব রিপোর্ট রয়েছে তা যত দ্রæত সম্ভব সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে সেসব প্রতিবেদন সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে। সেসব রিপোর্ট, প্রতিবেদন বা তথ্য পাওয়ার পর দ্বিতীয় বৈঠকে বসবে কমিটি। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন, পিএসসির প্রতিবেদন, বিভিন্ন সময় সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবদের কমিশন বা তাদের ব্যক্তিগত রিপোর্টও রয়েছে। যত দ্রæত পারি সেগুলো সংগ্রহ করব। আমরা এটা নিয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করতে চাচ্ছি। এটা আসলে দ্রæততম সময়ের মধ্যে চেষ্টা করছি সংগ্রহ করার। এগুলো সংগ্রহের ওপর পরবর্তী সভা নির্ভর করবে।
আবুল কাশেম বলেন, চেষ্টা করছি যত দ্রুত পারি, কর্মপরিধি অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার মধ্যেই রয়েছি। যদি না পারি পরে বলত পারব। কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনায় এক্সপার্ট বোর্ড করা হবে কি না- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতিবেদনগুলো সংগ্রহের পর সভা করে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কোট সংস্কার নিয়ে কমিটি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে যুগ্মসচিব বলেন, আন্দোলনকারী যারা, তারা তো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি-দাওয়া করছে। আসলে তারা অনেকেই তথ্য না জেনেও আন্দোলন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেহেতু চাচ্ছেন এ বিষয়ে ভালো-সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য, সেজন্য শক্তিশালী কমিটি বাস্তবধর্মী এবং তথ্যগত যে বিষয় রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র- নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা সংক্রান্ত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ