Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারী আসন আরও ২৫ বছর বিধান রেখে সংবিধান সংশোধনী বিল পাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৮, ৭:৪৬ পিএম

নারী আসন আরো ২৫ বছর সংরক্ষিত রাখার বিধান রেখে সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী বিল-২০১৮ সংসদে পাস। রবিবার বিকেলে সংসদে কণ্ঠভোটে এই বিল পাস হয়।

সংসদ অধিবেশনের কার্যসূচি থেকে জানা গেছে, গত এপ্রিলের প্রথমার্ধে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল-২০১৮’ সংসদে উত্থাপন করেন।

পরে তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

এর আগে অষ্টম জাতীয় সংসদে ২০০৪ সালে সংবিধান সংশোধন করে সংরক্ষিত নারী সদস্যের ৪৫টি আসন সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়।

তখন এ আইনের মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয় পরবর্তী সংসদের অর্থাৎ, নবম সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে দশ বছর।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেই হিসেবে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের মেয়াদ আছে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত রয়েছে।

২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। সে অনুযায়ী ৩৫০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে গঠিত বর্তমান জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ জন এবং সংসদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে ৫০ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন।

বাংলাদেশের সংবিধান
তবে পঞ্চদশ সংশোধনীতে ওই বিধির মেয়াদ না বাড়ানোয় ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারির পর তার আর কার্যকারিতা থাকবে না। এ কারণেই ওই বিধির মেয়াদ আরও ২৫ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

অবশ্য নারী নেত্রীরা বলে আসছেন, সংরক্ষিত আসনের মেয়াদ বাড়ানো হলে তা নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে না। এর বদলে স্থানীয় সরকারের মত সংসদেও নারী আসনে সরাসরি ভোট চান তারা।

সংবিধান সংশোধন করতে হলে সংসদ সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট লাগে। সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাতে আছে ২৩২টি আসন।

সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধন হয়েছিল ২০১৬ সালে। ওই সংশোধনে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে সর্বোচ্চ আদালত ওই সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেয়। ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল বিভাগে ইতোমধ্যে আবেদন করেছে সরকার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংবিধান সংশোধনী বিল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ