ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাতে জানা গেছে এমন তথ্য, ‘প্রেসিডেন্ট পুরো খেলা দেখেছেন। দলের জন্য সর্বোচ্চ সমর্থন দিয়েছেন তিনি। আমরা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও স্বচ্ছ একটি খেলায় হেরেছি। ম্যাচ হেরে গেলেও তারা আমাদের জাতীয় নায়ক। মাঠে তারা নিজেদের সর্বোচ্চটা ঢেলে দিয়েছে। আমরা তাদের নিয়ে গর্বিত।’
শুধু তাই নয়, ম্যাচের আগে এবং পরে পুতিন ফোন করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন রুশ কোচ স্তানিসলাভ চেরচেশভ, ‘ম্যাচের আগের দিন তিনি আমার সাথে কথা বলেছেন, ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই আবার ফোন দিয়েছিলেন। আমরা তাকে বলেছি যে এমন পরাজয়ে আমরা সবাই হতাশ। তবে তিনি বলেছেন আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।’
সেমিফাইনালে না উঠতে পারলেও নিজেদের লক্ষ্যটাকে আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার কথাই বললেন কোচ চেরচেশভ, ‘প্রথম সেকেন্ড থেকেই আমি এই দলের সবাইকে এক সুতোয় গাঁথার চেষ্টা করেছি। এই দলটা কী করতে পারে তা আমার জানা। আমার বিশ্বাস এই বিশ্বকাপে আমরা সফল হয়েছি, তবে এখন সময় হয়েছে নিজেদের সামর্থ্যকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।’
জাতীয় দলের সঙ্গে আগামী আগস্টেই চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে কোচ চেরচেশভের। তবে এমন অসাধারণ একটি বিশ্বকাপের পর তার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চাইবে রাশিয়ান ফুটবল ইউনিয়ন, সেটিই স্বাভাবিক। চুক্তি নবায়নের বিষয়ে অবশ্য এখনই মুখ খুলতে চাইলেন না চেরচেশভ, ‘এখনই এতকিছু ভাবতে চাইছি না। দলের মধ্যে একটা পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। এখনই এত দূরের কিছু ভাবার মতো সাহস দেখাচ্ছি না আমি।’
রুশ দর্শকেরাও নিজেদের ফুটবল নায়কদের অভিনন্দন জানিয়েছে। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৩২ দলের মধ্যে র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে নিচে থাকা দলটি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে, সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এটাই বা কয়জন ভেবেছিলেন!