পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের গঠিত কমিটির প্রথম বৈঠকে বসবে আজ রোববার। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি শাখা থেকে কমিটির সদস্যদের চিঠিও দেয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কোটা সংক্রান্ত গঠিত কমিটির সদস্য ফয়েজ আহম্মদক ইনকিলাবকে বলেন, রোববার কোটা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রথম সভা হবে। কি কি বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে তা সকলের মতামতের ভিত্তিতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রাথমিক এই বৈঠকে কোটা সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর কাজের ধরন ঠিক করা হবে। পরবর্তী বৈঠকগুলোতে কি বিষয়ে আলোচনা হবে তা-ও এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। এজন্য আরও বেশ কয়েকটি বৈঠক করা লাগতে পারে। সরকারের এই গঠিত কমিটি বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে কোটা পদ্ধতি সংস্কার বা বাতিলের প্রয়োজন হলে তার যৌক্তিকতাসহ সুপারিশ করবে। ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিতে হবে।
জনপ্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার জানিয়েছেন, কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়টি পুরোপুরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। ফলে এই কমিটির মাধ্যমে বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হবে। এরপর কমিটির প্রধান তা সরকারের কাছে তুলে ধরবেন। সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই চ‚ড়ান্ত হবে। কোটা সংক্রান্ত গঠিত কমিটির একাধিক সদস্য মনে করছেন, বিদ্যমান কোটাব্যবস্থা একেবারে বাতিল হবে না। কোটা বাতিল হলে এর সুবিধাভোগীদের পক্ষ থেকে আদালতে মামলার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলে গত সোমবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটি প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে সদস্য হিসেবে নিতে পারবে।
সরকারের এই গঠিত কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (বিধি) দায়িত্ব দেয়া হলেও এই পদটি গত ২১ জুন থেকে শূণ্য রয়েছে। কারণ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আবুল কালাম আজাদ। তাকে গত ২১ জুন রেলপথ মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। এখন এর সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বিধি-১) আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ ও উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে। এই ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগের বিধান রয়েছে। এ কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধও করছিলেন তারা। গত ৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে বসে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীরা। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৭ মে পর্যন্ত সময় নেন ওবায়দুল কাদের। কিন্তু এরপরের দিনও আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটারই দরকার নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।