পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে দুই দেশে পারস্পরিক সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী কং জুয়ানইউ’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ে সম্পৃক্ততার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দু’দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপি’কে বাংলাদেশ সাদরে বরণ করার জন্য অপেক্ষায় আছে। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে চীনা মন্ত্রীর ফলপ্রসূ আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এ লক্ষ্যেই সরকার সারাদেশে বিশেষ ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের উন্নয়নে শিল্প এবং কৃষি দু’টোরই প্রয়োজন রয়েছে। চীন বিশ্বে শীর্ষ স্থানীয় দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের জন্য সরকার সে সব ইকোনমিক জোনে জায়গা বরাদ্দ রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চীন, ভারত, মিয়ানমার) ইকোনমিক করিডোর সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। পাশাপাশি এটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
সফররত চীনা মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সকল চুক্তি ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে তারা এদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন এবং পররাষ্ট সচিবের সঙ্গেও তাঁর ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে চীনা মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে বাংলাদেশের ৭ শতাংশের ওপর জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন দারুণ একটি ব্যাপার। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে তাদের রূপকল্প-২০২১ এবং ২০৪১ সফলভাবে অর্জনে সক্ষম হবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে চীন তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র আখ্যায়িত করে চীনা মন্ত্রী বাংলাদেশের ‘ওয়ান চায়না পলিসি’র জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক ও চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং।
নার্সিংকে আকর্ষণীয় পেশায় রূপ দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার ঃ
নার্সিংকে আরো আকর্ষণীয় পেশায় রূপ দিতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাপানের ইউনিভার্সিটি অব কোচির প্রেসিডেন্ট ড. হিরোকো মিনামি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে এ কথা বলেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় এখানে নার্সিং পেশা অবহেলিত ছিলো। এ মহান পেশাকে আরো আকর্ষণীয় করতে, মানুষ যেন এ পেশায় যোগ দিতে উৎসাহিত হয় সেজন্য আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক উন্নয়নের কথাও এ সময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরো দুটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান।
ড. হিরোকো মিনামি বলেন, ‘প্রজেক্ট ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব নার্সিং সার্ভিসেস’ এর অধীনে বাংলাদেশে নার্সিং সেক্টরের উন্নয়নে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির একটা পরিকল্পনা রয়েছে। এর অধীনে নার্সিংয়ে গ্র্যাজুয়েশন কোর্স করা যাবে বলেও জানান তিনি। সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে এবং জাপানি সাহায্য সংস্থা জাইকার প্রধান প্রতিনিধি মিকিও হাতায়েদা।
খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা ঃ
বীরশ্রেষ্ঠ ও অন্যান্য খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারী ও পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ১৩ জন ব্যক্তির মধ্যে ১২ জনকে ৩ লাখ করে এবং বাকি একজনকে ৬ লাখ টাকার অনুদানের চেক দেন শেখ হাসিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।