পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্রলীগ নেতাদের হামলায় আহত কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম তারেকের মেরুদণ্ডের হাড়ও ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
তরিকুলের তত্ত্বাবধানে থাকা চিকিৎসক ডা. সাঈদ আহমেদ শনিবার বলেন, ‘তরিকুলের ডান পা মারাত্মকভাবে ভেঙেছে। ওর পিঠের এক্স-রে করিয়েছি আমরা। কোমরের ঠিক উপরে মেরুদণ্ডের হাড় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ভেঙে গেছে বলা যায়।
তিনি বলেন, ভারী কিছুর আঘাতে এমনটি হয়েছে। অপারেশন করার প্রয়োজন হবে কিনা সেটা রিপোর্ট হাতে এলে জানা যাবে। তবে দীর্ঘসময় তাকে চিকিৎসা নিতে হবে।’
তরিকুল জানান, কোমরের ঠিক উপরের জায়গায় প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভব করছেন তিনি। ক্রমে তা বাড়ছে। একটু নড়াচড়া করলেই মনে হচ্ছে কেউ ভারী বস্তু দিয়ে সেখানে আঘাত করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের হাতুড়ির আঘাতে মেরুদণ্ডের হাড়টি ভেঙেছে বলে ধারণা তরিকুল ও তার সহপাঠীদের।
এদিকে গত ২ জুলাই হামলার পর পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থেকেও তরিকুলের শারিরীক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। শরীরজুড়ে প্রচন্ড ব্যাথা। বাম পায়ে বড় কোনো আঘাত না থাকলেও ডান পা নড়াচড়া করলে পুরো শরীর ব্যাথা করছে। হাসপাতালের বেডে উঠে বসতেও পারছেন না তরিকুল।
বর্তমানে তিনি রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় রয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শনিবার সকালে তরিকুলের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলা শুরু করতেই কেঁদে ফেলেন তিনি। বলেন, ‘ভাই, খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি কোনো দিনও কারও গায়ে হাত তুলিনি। কাউকে আঘাত দিয়ে কথাও বলিনি। তাহলে আমাকে কেন আজ এত কষ্ট সইতে হচ্ছে?’
শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তরিকুল বলেন, ‘শরীরে খুব ব্যথা। মেডিসিন নিচ্ছি নিয়মিত। প্লাস্টার খোলা হয়েছে, আমার ডান হাটুর নীচে থেকে একদিকে হেলে গেছে। মনে হচ্ছে আমি কোনোদিনও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারব না। মেরুদণ্ডের হাড়েও খুব ব্যথা। বসতে পারছি না। কোমরের ঠিক উপরের দিকে ব্যাথা। অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।