পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রতি পহেলা বৈশাখ এবং মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে ওলামা লীগের পক্ষ থেকে করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দলের পক্ষ থেকে প্রচার সম্পাদক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনটি হয়। বাংলাদেশের জিডিপি নিয়ে বিএনপির করা মন্তব্যের জবাবে দিতে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে ‘অনৈসলামিক ও হারাম’ বলে দাবি করে আওয়ামী ওলামা লীগের একাংশ।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন, তা ডাহা মিথ্যা। বিএনপি ধারাবাহিকভাবে যে মিথ্যাচারের রাজনীতি করে আসছে, তারই অংশ হিসেবে জিডিপি নিয়ে এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যে বছর হত্যা করা হয়, সে বছর জিডিপি ৭ শতাংশের বেশি হওয়ার কথা ছিল। স্বাধীনতার পর এই প্রথম ৭.০৫ শতাংশ জিডিপি অর্জিত হতে যাচ্ছে। আর এটিই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা মিথ্যচারের পাশাপাশি নানা ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ বিএনপি নেতাদের মানসিকভাবে অসুস্থ দাবি করে বলেন, এই দলটি (বিএনপি) দেশের মঙ্গল চায় না। বিএনপির আমলে বাংলাদেশ পরপর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। আর উন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ নির্বাচিত হন।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, সারা পৃথিবী যখন প্রশংসা করে, তখন রাজনৈতিক ও চেতনার দৈন্য এত নিচে যে তারা বাংলাদেশের অগ্রগতিকে প্রশংসা করতে পারে না। আমরা আশা করব, আওয়ামী লীগের সমালোচনা করুন, কিন্তু দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে সেটিও মেনে নিন।
তিনি আরও বলেন, সঠিক সমালোচনাকে আমরা সমাদৃত করি। কিন্তু যারা অন্ধের মতো কোনো কিছু দেখতে পায় না, সমগ্র পৃথিবী যখন দেখতে পায়, তখন বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া, মহাসচিব দেখতে পায় না, তখন তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়েও আমাদের প্রশ্ন দেখা দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, স্বাস্থ্য ও পরিসংখ্যান বিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সদস্য এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।