পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) নামে একটি বিকল্প লেনদেন প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে চাইছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ড ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানির প্লাটফর্মের বাইরে থাকা সব ধরনের সিকিউরিটিজ নতুন এ বিকল্প প্লাটফর্মে হাতবদল হবে। জনমত যাচাইয়ের জন্য এরই মধ্যে এ-সংক্রান্ত আইনের খসড়া প্রকাশ করেছে বিএসইসি।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (অল্টারনেটিভ ট্রেডিং প্লাটফর্ম) রুলস ২০১৮, নামে নতুন এ আইনটি কার্যকর হলে এর আগের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ওভার দ্য কাউন্টার) রুলস ২০০১ বাতিল হয়ে যাবে। ফলে এখন থেকে আর কোনো কোম্পানিকে এর পারফরম্যান্সের কারণে ওটিসিতে পাঠানো হবে না। বরং এমন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে তালিকাচ্যুত করা হবে। এটিবি প্লাটফর্মের আওতায় পুঁজিবাজারের মূল বোর্ড ও ন্যূনতম ৫ কোটি টাকা পযর্ন্ত মূলধন রয়েছে, এমন স্বল্প মূলধনি কোম্পানি বাদে বাকি সব ধরনের সিকিউরিটিজ লেনদেন করতে পারবে। এক্ষেত্রে ১৯৬৯ সালের দ্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সে সিকিউরিটিজের সংজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ ১৯২০ সালের সিকিউরিটিজ আইনে সংজ্ঞায়িত যেকোনো ধরনের সরকারি সিকিউরিটিজ, কোম্পানির বন্ধকিকৃত সম্পদ, হস্তান্তরযোগ্য শেয়ার, স্ক্রিপ, নোট, ডিবেঞ্চার, ডিবেঞ্চারস স্টক, বন্ড, বিনিয়োগ চুক্তি, ডেরিভেটিভ, কমোডিটি ফিউচারস কন্ট্রাক্ট ও অপশনস কন্ট্রাক্ট নতুন এ প্লাটফর্মের আওতায় লেনদেন করা যাবে।
তবে মূলধন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এটিবিতে তালিকাভুক্ত হওয়া যাবে না। অর্থাৎ এ প্লাটফর্মে তালিকাভুক্ত হলে শেয়ার সংখ্যা বাড়বে না। শুধু একটি লেনদেন প্লাটফর্ম হিসেবে বিক্রেতার অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি ক্রেতার শেয়ারপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করবে এটিবি। এ প্লাটফর্মের সিকিউরিটিজকে এটিবিতে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজ হিসেবে অভিহিত করা হবে। মূল বোর্ডের মতো এখানে দ্বৈত তালিকাভুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে, এ প্লাটফর্মের আওতায় লেনদেনের সুবিধা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইস্যুয়ারকে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে আবেদন করতে হবে। এজন্য ইস্যুয়ার একজন মার্চেন্ট ব্যাংকারকে নিয়োগ করতে পারবে। আবেদন পাওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে স্টক একচেঞ্জ আবেদন গ্রহণ কিংবা প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে।
প্রস্তাবিত খসড়ার বিষয়ে বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর ফলে পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা অসংখ্য কোম্পানি, বন্ডসহ সব ধরনের সিকিউরিটিজের শেয়ার লেনদেনের একটি আইনি প্লাটফর্ম তৈরি হবে। এছাড়া মূল বোর্ডের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের তুলনায় এটিবিতে রেগুলেশন পরিপালনের ক্ষেত্রেও অনেকাংশেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। যথাযথভাবে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে এটিবি প্লাটফর্ম মূল বোর্ডের চেয়েও জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা তাদের। আগামী তিন মাসের মধ্যেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এটিবি প্লাটফর্ম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক্সচেঞ্জটির কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।