পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেছেন, আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট অসৎ ব্যবসায়ীদের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক হবে। একই সাথে আগামী বাজেটে সৎ ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা থাকবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সম্পদের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন তথা বাজেট প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবি। আমরা অভ্যন্তরীণ সম্পদের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি। অভ্যন্তরীণ সম্পদের উপর নির্ভর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এখন সময়ের দাবি। আসন্ন বাজেট সম্পর্কে তিনি বলেন, বড় স্বপ্ন থাকলে তা বড় কিছু বাস্তবায়নের দিকে যেতে পারে। আমরা জানি সামনের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বড় হয়েছে। যদি আমরা সবাই মিলে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় রাজস্ব আদায় করা সম্ভব।
নজিবুর রহমান আরও বলেন, আগামী বাজেট হবে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এর বড় একটি অংশ এনবিআরকে আদায় করতে হবে। সকলে মিলে চেষ্টা করলে লক্ষ্যমাত্রা আদায় করা সম্ভব হবে। আসন্ন বাজেটকে গ্রিন বাজেট হিসেবে উল্লেখ করে নজিবুর রহমান বলেন, যারা বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে, তারা জাতীর শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমাদের সহকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।
অ্যাকশনএইড রিপোর্ট ও পানামা পেপারস সম্পর্কে তিনি বলেন, অ্যাকশনএইডের রিপোর্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে যাদের নাম আসছে দেশের স্বার্থে দুদক, সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো একসঙ্গে কাজ করছে।
এদিকে, দেশের স্বার্থে রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)। প্রাক-বাজেট আলোচনায় ইআরএফের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল বলেন, উপজেলা পর্যায়ে কর আদায়ের প্রতি জোর দিতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যাতে কর দিতে উৎসাহ দেখায়, সেজন্য প্রতি করদাতাকে ট্যাক্সকার্ড দেওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, বড় বড় কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। কারণ, অনেক বড় ব্যবসায়ী রয়েছেন, যাদের কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বেশি। এরা যদি পার পেয়ে যায়, তাহলে ছোট ব্যবসায়ীরাও কর বিমুখ হবে।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, কর দেওয়ার সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে হবে। যত বেশি কর, তত বেশি সুবিধা-এ রেওয়াজ চালু করলে করদাতাদের মধ্যে কর প্রদানে উৎসাহ দেখা দেবে। বৈঠকে এনবিআরের সদস্য (ভ্যাট) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসাইন, সদস্য (আয়কর নীতি) ইকবাল পারভেজ, প্রাক-বাজেট সমন্বয়কারী আকবর হোসেনসহ ইআরএফ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।