Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরিফের উন্নয়ন অহঙ্কার ঐক্যের সুর আ.লীগে

| প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ফয়সাল আমীন : ভেতরে ভেতরে নেতাদের মধ্যে দুরত্ব থাকলেও দৃশ্যত ঐক্যের সুর অনুরণিত হচ্ছে সিলেট আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কামরানের পক্ষে। আওয়ামী লীগে কামরান-আসাদ একজন অপরজনের প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষ হলেও সেই আসাদ উদ্দিন আহমদ এখন বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব। বিএনপি সমর্থিত আরিফুল হক চৌধুরী উন্নয়ন কর্মকাÐের দাপুটে চরিত্রে প্রশংসিত হলেও এখন দল ও জোটগত অনৈক্য দৃশ্যমান। তবে তার উন্নয়ন চরিত্র বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের জন্য অহঙ্কার। দলের মহানগর কমিটির সেক্রেটারি বদরুজ্জামান সেলিম অনড় রয়েছেন নিজের প্রার্থিতা নিয়ে। জোটের শরিক দল জামায়াতের এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এখনও নির্বাচনমুখী। এতে করে বিব্রত অবস্থায় পড়েছে দল ও জোটের নেতাকর্মীরা। বৃহত্তর স্বার্থে সেলিম ও জুবায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন এমনটিই ভাবছেন তারা। আ‘লীগের গতি ও কৌশলের কাছে জোটের সুদৃঢ় ঐক্যেই যে নিজদের অস্তিত্ব, সেই বোধোদয় ঘটবে বলে জানান জোটের স্থানীয় একাধিক নেতা। সেই ঐক্যের বাস্তবতায় সিলেটে আরিফের বিজয় সম্ভব বলেও তাদের প্রত্যাশা। সিসিক নির্বাচনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ছয়জন। মহানগর আ’লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের মধ্যে ছিল মূল লড়াই। নেতাকর্মীরা মনে করেছিল নতুনদের মধ্যে কাউকে সুযোগ দিয়ে কামরান একজন অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। কারণ জনপ্রতিনিধিত্বের দীর্ঘ স্বাদ তিনি নিয়েছেন। পরপর ২ বার মেয়র ছিলেন নগরীর। এছাড়াও কাউন্সিল, পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ফের নৌকার টিকেট দেন কামরানকে। গত বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সিলেট জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরীকে আহবায়ক ও মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদকে সদস্য সচিব করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। সিলেটে ধানের শীষ প্রতীকের দাবিদারদের মধ্যে শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন সদ্য সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং নগর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম ও জোটের শরিক জামায়াতের এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তবে সব জল্পনা কল্পনা শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শেষ পর্যন্ত ভরসা রাখেন আরিফের ওপরই। দলের নীতি নির্ধারকরা মনে করেন, মেয়র হিসেবে আরিফের কর্মকাÐে সচেতন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
এদিকে জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, কেন্দ্র থেকে কঠোর বার্তায় আরিফের হয়ে কাজে সবাই একজোট। এখানে আরিফ একটি প্রতীকি রূপ, বাস্তবে ২০ দলীয় জোটের অস্তিত্বের প্রশ্ন জড়িত জয়-পরাজয়ের সাথে। সিলেট-১ আসন তথা নগরীর মাটিতে বিজয়ের সাথে দেশ পরিচালনার সম্পর্ক সুনিবিড়। তাই সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি। এছাড়া বৃহৎ স্বার্থে বদরুজ্জামান সেলিম ও জোটের শরিক দল জামায়াতে নেতা এহসানুল মাহবুব জুবায়ের মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন বলে আশাবাদী তিনি।



 

Show all comments
  • শরীফ ৬ জুলাই, ২০১৮, ৩:১৬ এএম says : 0
    ভোট সুস্ঠ না হলে এই নির্বাচনের আয়োজনের কোন দরকার নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • ইয়াসমিন ৬ জুলাই, ২০১৮, ৩:৩৯ এএম says : 0
    ঐক্য ছাড়া জয়লাভ করা সম্ভব না।
    Total Reply(0) Reply
  • Golam Morshed ৬ জুলাই, ২০১৮, ৩:৩৯ এএম says : 0
    ঐক্যের বাস্তবতায় সিলেটে আরিফের বিজয় সম্ভব
    Total Reply(0) Reply
  • বিপ্লব ৬ জুলাই, ২০১৮, ৩:৪২ এএম says : 0
    এই কঠিন সময়ে ২০ দলীয় জোটকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। না হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জোটের সকলকেই কিছুটা ছাড় দিয়ে ঐক্য ধরে রাখতে হবে বলে আমি মনে করি।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah Al Noman Polash ৬ জুলাই, ২০১৮, ৪:০৪ এএম says : 0
    জামাত শুধু বিএনপিকে দিয়েই যাবে , কিছুই চাইতে পারবে না !!! এভাবেতো আর জোট টিকে থাকতে পারে না । বিএনপির দেখা উচিৎ আওয়ামিলীগ জাসদ, ওয়ারকাস পারটির মত ছোট দলকেও কি পরিমাণ ছাড় দিয়েছে ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আ.লীগে

২৮ মার্চ, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ