পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকায় যানজটে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা। গত ১০ বছরে গাড়ির গড় গতি ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার থেকে কমে ৭ কিলোমিটারে নেমে এসেছে। যেখানে পায়ে হেঁটে চলার গড় গতি প্রতি ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার। ঢাকায় প্রতিদিন মানুষ বাড়ছে। বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩৫ সালে ঢাকার জনসংখ্যা হবে সাড়ে ৩ কোটি। বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে ঢাকার শহরের এমন চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। গেøাবাল সিটির অংশ হিসেবে ঢাকাকে কিভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘পাওয়ার হাউস’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায়, সেই গবেষণা করেছে সংস্থাটি।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকায় প্রতিবছরই বসতি বাড়ছে। ১৯৮০ সালে ঢাকার জনসংখ্যা ছিলো ৩ মিলিয়ন বা ৩ লাখ। বর্তমানে সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৮০ লাখে। এর মধ্যে সাড়ে তিন মিলিয়ন লোক বস্তিতে বসবাস করে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সালে ঢাকায় বসতি দাঁড়াবে ২৫ মিলিয়ন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত ১০ বছরে যান-চলাচলের গড় গতি ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার থেকে কমে ৭ কিলোমিটারে পর্যন্ত নেমে এসেছে, যেখানে পায়ে হেঁটে চলার গড় গতি প্রতি ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার।
বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, গেøাবাল সিটির অংশ হিসেবে ঢাকাকে কিভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘পাওয়ার হাউস’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায়, সেই গবেষণাও করেছে বিশ্ব ব্যাংক। যা এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু পদক্ষেপ নিলে ঢাকায় অতিরিক্ত ৫০ লাখ লোকের জন্য বসবাসের ব্যবস্থা করা যাবে। একই সঙ্গে ১৮ লাখ মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থান করা সম্ভব। যেটা করতে হলে তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেগুলো হলো- বন্যার হাত থেকে বাঁচতে ও পানির গতি ঘুরাতে বালু নদীর তীরে একটি বাঁধ দিতে হবে। ক্রমবর্ধমান সাধারণ ট্রান্সপোর্ট ও পাবলিক ট্রান্সপোর্টের চলাচলের উন্নয়নে সমন্বয় করতে হবে। এর বাইরে ঢাকার আগেই একটি ‘বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট’ গড়ে তুলতে হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তিন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে ব্যয় হবে দেড় হাজার কোটি টাকা। আর এই টাকা ব্যয়ের ফলে ২০৩৫ সালের মধ্য বছরে ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম হবে। বিশ্ব ব্যাংক বলছে, এই অর্থনৈতিক কার্যক্রম রাজধানীবাসীর আয় বাড়িয়ে দেবে । এখন যেখানে মাথাপিছু আয় ৮ হাজার ডলার সেটা ২০৩৫ সাল নাগাদ ৯ হাজার ২০০ ডলারে উন্নীত হবে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্টিন রামা, পিপিআরসির চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সির প্রফেসর এনথনি ভেনাবল।
প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এনথনি ভেনাবল বলেন, গড় হারে প্রতিদিন ঢাকায় মানুষ বাড়ছে। বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩৫ সালে ঢাকার জনসংখ্যা হবে সাড়ে ৩ কোটি। ঢাকা এখন অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। সেটা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।