পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তরুণ নেতৃত্ব কি পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে চমক দেখাতে পারবে? এ নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। দেশটির সাবেক ক্ষমতাসীন দু’টি দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) যে নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছে তারা উভয়েই তরুণ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিয়া নাওয়াজ শরিফ আদালতের নির্দেশে পার্টি ও দেশের নেতৃত্ব দানের অযোগ্য ঘোষিত হবার পর মুসলিম লীগ-এন দলটির হাল ধরেছেন তার সুযোগ্য কন্যা মরিয়ম নাওয়াজ। আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপির একমাত্র ‘তলোয়ার’ হচ্ছেন বিলাওয়াল ভুট্টো। দু’জনই দেশের বড় দুই দলের উত্তরাধিকারী। দলের আশা-ভরসা, জয়-পরাজয়ের চাবিকাঠি। মা-নানার রাজনৈতিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে গত রোববার থেকেই প্রচারণায় মাঠে নেমে পড়েছেন ২৯ বছরের তরুণ বিলাওয়াল ভুট্টো। নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন ভুট্টো বংশের নতুন এই ‘রাজপুত্র’। অন্যদিকে মায়ের চিকিৎসার কারণে লন্ডনে থাকা মরিয়মের অনুপস্থিতিতে তার সমর্থকরা দলীয় প্রতীক ‘সিংহ’ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন। আগামী সপ্তাহেই তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। বাবা নওয়াজ শরীফের আসন থেকে নির্বাচন করছেন। তবে রাজনীতিতে একেবারেই নতুন ৪৪ বছর বয়সী মরিয়ম।
আগামী ২৫ জুলাই পাকিস্তানে ১৩তম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের জুলাই মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে নওয়াজ শরীফকে অযোগ্য ঘোষণা করেন সুপ্রিমকোর্ট। পরে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। এরপরই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন মরিয়ম। গত বছর উপনির্বাচনে মা বেগম কুলসুম নওয়াজের হয়ে প্রচারে অংশ নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। এবারের সাধারণ নির্বাচনে লাহোরের এনএ১২৭ ও পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির পিপি ১৭৩ কেন্দ্র থেকে লড়ছেন মরিয়ম। মায়ের চিকিৎসার কারণে বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে থাকা মরিয়ম আগামী সপ্তাহে বাবার সঙ্গে দেশে ফিরবেন বলে দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে জিও নিউজ।
রাজনৈতিক দলে কখনই কোনো পদে ছিলেন না মরিয়ম। রাজনীতির কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতাও নেই তার। তবুও দলের প্রধান আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি। তার কাঁধেই ভর করে এগিয়ে যাবে দল- এমন প্রত্যাশা বাবা নওয়াজসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের।
নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে মাঠ গরম করে ফেলেছেন ভুট্টো পরিবারের তৃতীয় উত্তরসূরি বিলাওয়াল। তীর প্রতীক নিয়ে করাচির এনএ-২৪৬ (লায়ারি) আসনে লড়ছেন তিনি। ‘গো বিলাওয়াল গো’ সেøানে প্রচারণায় নেমেছেন বিলাওয়াল। নানা, নানি, মা ও বাবার পর পিপিপির চেয়ারম্যান পদে বসেন তিনি। ১৯৬৭ সালে নানা জুলফিকার আলী ভুট্টো পিপিপি প্রতিষ্ঠা করেন। নানার পর ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দলের নেতৃত্ব দেন নানি নুসরাত, এরপর মা বেনজির ২০০৭ সাল পর্যন্ত এবং কিছুদিন বাবা আসিফ আলী জারদারি। এরপর ২০০৭ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে পিপিপির প্রধান হন বিলাওয়াল। পারিবারিক রাজনীতির সিঁড়ি বেয়ে এখানে এসেছেন তিনি। তার নেতৃত্বে আসন্ন নির্বাচনে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও সমর্থকদের মধ্যে আকর্ষণ বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তানের একমাত্র প্রধান বামপন্থী দল পিপিপি। দলকে নতুন করে পুনরুত্থানের চেষ্টা চালাচ্ছেন তরুণ বিলাওয়াল। ২০০৭ সালে বেনজির নির্বাসন থেকে ফিরে আসার পর আততায়ীর হাতে খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত পিপিপির জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। মায়ের মতো বিলাওয়ালও অক্সফোর্ডের সাবেক শিক্ষার্থী। দলের আশা, তরুণ এই কাÐারীর হাত ধরেই আবারো ঝলসে উঠবে পিপিপি’র তলোয়ার। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।