পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। আজ বুধবার দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ছাত্রদের ওপর হামলার বিচার দাবিতে আগামী ১২ জুলাই মশাল মিছিলের ঘোষণা দেয়।
এছাড়া জোটটি আগামী ৮ জুলাই সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব বন্ধ ও শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশের দাবিতে দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে স্মারকলিপি ও সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের উপচার্য-অধ্যক্ষ বরারব স্মারকলিপি প্রদান করবে।
১৫ জুলাই তারা কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরারব স্মারকলিপি প্রদান করবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিএম জিলানী শুভ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ইকবল কবীর, ছাত্র ঐক্য ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার আল ইমরান প্রমুখ।
সাতটি বাম ছাত্র সংগঠন নিয়ে প্রগতিশীল ছাত্র জোট গঠিত।
লিখিত বক্তব্যে জিলানী শুভ বলেন, গত ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা-আক্রমণ করেছে। একই সঙ্গে পুলিশের হয়রানি, গ্রেফতার ও ৫৪ ধারায় তুলে নিয়ে যাওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। এই রকম চরম দমনমূলক পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তারা ছাত্রলীগের হামলা ও পুলিশের গ্রেফতারের নিন্দা জানান।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসগুলোতে লাটিসোটা, রড, চাপাতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর শারিরীক আক্রমণ-নিপীড়ন মারপিট করে শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করে চলেছে। তার মত প্রকাশের সাংবিধানিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ করে আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে চলেছে। কিন্তু প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে চলেছে ও হামলাকারীদের পক্ষেই সাফাই গাইছে যা প্রশাসনের মেরুদণ্ডহীন দলীয় দাসত্বের পরিচয়কে স্পষ্ট করে।
সংবাদ সম্মেলনে শেষে জোটটি একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।