বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
গ্রুপ পর্বের লড়াই শেষে নকআউট পর্বও শেষ দিকে। হারলেই বিদায়। সর্বোচ্চটা বাজি রেখেই খেলতে হবে দলগুলোকে। সেই বাজি জিততে মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করছে ল্যাটিন আমেরিকার দল কলম্বিয়া। আক্রমণ-পাল্টা অাক্রমণে খেলা এগুলোও প্রথমার্ধ শেষেও গোলের দেখা পায়নি কোন দল।
বিরতি থেকে ফিরেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নেন হ্যারি কেইন। নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তের গোলে কলম্বিয়াকে স্বস্তির সমতায় ফেরান ইয়েরি মিনা। ইংল্যান্ড ১, কলম্বিয়া ১- এই স্কোর লাইন নিয়ে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট লড়াইয়ের সুযোগ পায় দু’দল। সেখানেও ভাগ্য পরিবর্তন না হালে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতে শেষ আটে উঠে গেল ইংল্যান্ড।
ম্যাচের প্রথম সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় কিরান ট্রিপিয়ারের ক্রসে কঠিন কোণ থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি হ্যারি কেইন। চলে যায় বার পোস্টের উপর দিয়ে।
আক্রমণে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে গোল করার তেমন ভালো সুযোগ আসেনি। বরং মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে রেষারেষিতে। এমন এক ঘটনায় জর্ডান হেন্ডারসনকে মাথা দিয়ে হালকা গুতো মেরে হলুদ কার্ড দেখেই পার পেয়ে যান উইলমার বাররিওস। প্রধমার্ধের ৪১তম মিনিটে পাওয়া সেই ফ্রি কিক থেকে এবার দলকে এগিয়ে নিতে পারেন নি কােইরেন ট্রিপার। তার করা শট প্রথম বার ঘেষে চলে যায় মাঠের বাইরে।
যোগ করা সময়ে কিন্তেরোর নেওয়া শট সরাসরি চলে যায় পিকফোর্ডের কাছে।
বিরতি থেকে ফেরার ১০ মিনিট বাদেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেইন। ৫৪ মিনিটে একটি কর্নারের সময় বক্সের ভেতর কার্লোস সানচেজ ফেলে দেন হ্যারি কেনকে। সেখান থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন কেন। টুর্নামেন্টে নিজের ষষ্ঠ গোলটিও পেয়ে যান ইংলিশ তারকা।
কেনের গোলের পর ৬২ মিনিটে ইংল্যান্ড পেয়ে যায় আরেকটি ভালো সুযোগ। কিন্তু ডেলে আলীর হেড একটুর জন্য চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে।
৮১ মিনিটে কলম্বিয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়া। ওয়াকারের ভুলে প্রতি আক্রমণ থেকে ডি বক্সের ভেতর বল পেয়ে যান কুয়াদ্রাদো। কিন্তু তাঁর ডান পায়ের শট চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে।
নাটকের তখনও বাকি ছিল। ম্যাচের শেষ বাঁ িবাজার অপেক্ষায় রেফারি। রস্কোভ অ্যারেনায় দু’দলেল সমর্থকরা দুই ভাগে প্রার্থণায় বিভক্ত। ঠিক সেই সময় দারুণ এক গোল করে কলম্বিয়াকে সমতায় ফেরান দলের সেরা তারকা ইয়েরি মিনা।
৫২ বছর পর আবারও একটি শিরোপায় বিভোর ইংলিশরা। ফাইনালে যাওয়ার পথটাও কঠিন নয়। বড় কোন দলের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না তাদের। শক্তি, ইতিহাস সবকিছুতেই এগিয়ে ছিল তারা। দুই দলের শেষ ষোলোতে আসার পথটাও ছিল ভিন্ন রকম। অনেকটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রুপ পর্ব পার হয়েছে ইংল্যান্ড, অপরদিকে জাপান-সেনেগালের সাথে ত্রিমুখী লড়াই জিতে তবেই শেষ ষোলোতে এসেছিল কলম্বিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।