পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার : যেসব ট্যানারি কারাখানা এখনো হাজারীবাগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের বেঞ্চ-এ আদেশ দেন। শিল্প সচিবকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই তালিকা আদালতে দাখিল করতে হবে।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী বলেন, শিল্প মালিকেরা হাজারীবাগে এখনো ট্যানারি কারখানা পরিচালনা করছেন বলে ১১ এপ্রিল পত্রিকায় প্রতিবেদন এসেছে। তাদের এ কার্যক্রম আদালতের নির্দেশনা অমান্য করার শামিল। ওখানে ট্যানারির কার্যক্রম পরিচালনা করায় ঢাকার পরিবেশ রক্ষা ও বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে আবেদনটি করা হয়।
ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে নিতে ২০০১ সালে একটি রায় দেয়। এরপর ২০০৯ সালের ২৩ জুন আদালত ট্যানারি সরিয়ে নিতে ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। ওই সময়সীমা কয়েক দফা বাড়ানো হয়। এরপরও ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে স্থানান্তর না করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল আদালত অবমাননার রুল দেয়। তার জবাবে আদালতে শিল্প সচিব ব্যাখ্যা দেন। এরপর ওই ১০ কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল দিয়ে তাদের আদালতে তলব করা হয়। সর্বশেষ গত ১০ ও ১১ এপ্রিল তিন মালিক হাজারীবাগ থেকে কারখানা বন্ধ ও সাভারে সরিয়ে নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি পান। তিন মালিক হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ হয়। ১২ এপ্রিল নতুন এই আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ, যা বুধবার শুনানির জন্য ওঠে। আদালত এ আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।