সোমবার দুপুরে আলাপকালে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন নুরের ভাবি মিতা হক। তিনি বলেন, ‘নুরের শারীরিক অবস্থা অনেক খারাপ। গতরাতে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়ার পর আমিও অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছি। নুরের চিকিৎসার স্বার্থে ও তার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা তাকে সব কিছু থেকে আড়াল করে রাখার চেষ্টা করছি।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মিতা হক বলেন, ‘গতরাতে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের বের করে দেয়। তারা নুরকে হাসপাতালে ভর্তি রাখতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে রোববার রাতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ হাসপাতাল ঘিরে ফেলে। আমরা ভয় পেয়ে যাই। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন আমাদের বের হয়ে যেতে বলে, আমরা বাধ্য হয়ে নিচে নেমে আসি।’
‘নিচে নেমে দেখি অনেক মিডিয়াকর্মী হাসপাতালের নিচে অপেক্ষা করছে। তাই হাসপাতালের গেট লাগিয়ে রাখা হয়, আমাদের বের হতে দেয়া হচ্ছিল না। পরে অনেক রিকুয়েস্ট করে আমরা হাসপাতাল থেকে কোনো রকমে বের হয়ে একটা সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে চলে আসি। নিরাপত্তা বিবেচনায় এখন আমরা কোথায় আছি, তা বলতে পারছি না’ যোগ করেন নুরের ভাবি।
এর আগে গত শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের শীর্ষ নেতা নুরুল হক নুরকে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ তাকে সেখানেও চিকিৎসা দেয়নি। পরে ধানমন্ডির বেসরকারি আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নুরকে।