Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাল খালেদা জিয়ার আপিলসহ চার আবেদনের শুনানি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করা আপিলের শুনানি আগামীকাল (মঙ্গলবার)। একইসঙ্গে ওইদিন আরও তিনটি আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিহ হবে। এর মধ্যে একটি খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদন। অপর দুটি ওই মামলায় ১০ বছরের সাজার রায় বাতিল চেয়ে মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের করা আপিল আবেদন।
গতকাল রোববার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার আপিল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে এই বেঞ্চের প্রতি আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী দুদক শুনানির উদ্যোগ নিলে গত ২৭ জুন হাইকোর্টের উপরোক্ত বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য ৩ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ওই দিন এই তিনটি আবেদনেরও শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানিয়েছিলেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। কিন্তু হাইকোর্টের উপরোক্ত বেঞ্চের দুদকের মামলা শুনানির এখতিয়ার না থাকায় আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানির দিন ধার্য করেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এই তিনটি আবেদনও যাতে খালেদা জিয়ার আপিলের সঙ্গে শুনানি হয়,সেজন্য আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। প্রধান বিচারপতি গত বৃহস্পতিবার আবেদন তিনটি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আাপিলের সঙ্গে শুনানির দিন ধার্য করেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী। এ সময় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৮ ফেব্রæয়ারি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদÐ হয়। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদÐ দেয়া হয়। রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রæয়ারি রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এর পর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রæয়ারি এ আপিল দায়ের করেন। এছাড়া সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদও আপিল করেন। বাকি তিন আসামি পলাতক থাকায় হাইকোর্টে আপিল করেননি। এছাড়া গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেয়া ওই জামিন বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। জামিন বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গত ১৬ মে রায় দেন। রায়ে এ মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া চার মাসের জামিন বহাল রাখেন। এছাড়া ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ বছরের কারাদÐের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার করা আপিল নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চকে নির্দেশ দেন। এই রায়ের অনুলিপি হাতে পেয়ে দুদক হাইকোর্টে শুনানির উদ্যোগ নেয়। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ