বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
জীবনের শেষ বিশ্বকাপটাই কি খেলে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো? গতপরশু রাতে সোচির ফিশৎ স্টেডিয়ামে উরুগুয়ের কাছে ২-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়ার পর এমন প্রশ্নই উড়ে বেড়াচ্ছে বাতাসে। ২০২২ বিশ্বকাপের সময় রোনালদোর বয়স হবে ৩৭। বয়সটা কি ঠিক বিশ্বকাপ খেলার উপযোগী! ম্যাচ শেষ পর্তুগিজ তারকা অবশ্য এসব নিয়ে কোনো কথা বলেননি। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এ নিয়ে কিছু বলার সময় এটি নয়।’
তবে রাশিয়া ছাড়ার আগে ফিফার অফিসিয়াল পর্তুগিজ-ভাষার টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ১৫৪ ম্যাচে ৮৫ গোল করা রোনালদোর জানান তার নিজের বিশ্বাসের কথা, নিজে দলের সঙ্গে থাকুন আর নাই থাকুন, ঘুরে দাঁড়াবে পর্তুগাল, ‘আমি মনে করি, এটা ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার সঠিক সময় নয়। তবে আমি নিশ্চিত, দারুণ সব খেলোয়াড়, চমৎকার একটা দল ও তরুণদের নিয়ে আমাদের জাতীয় দল বিশ্বের অন্যতম সেরা দল হয়ে থাকবে। এটা এমন একটা দল যাদের জয়ের উচ্চাকাক্সক্ষা আছে। আর এ কারণেই সব কিছু নিয়ে আমি খুশি।’
এডিনসন কাভানির গোলে পিছিয়ে পড়া পর্তুগাল পেপের দারুণ এক হেডে সমতায় ফিরেছিল। কিন্তু কাভানির দ্বিতীয় গোলের পর আর সমতা টানতে পারেনি ফের্নান্দো সান্তোসের দল। ম্যাচটি তারা দুর্ভাগ্যক্রমে হেরে গেছে বলে মনে করেন রোনালদো, ‘উরুগুয়েকে আমাদের অভিনন্দন জানাতে হবে। কারণ তারা দুটি গোল করেছে। এই ম্যাচের জন্য পর্তুগালের প্রশংসাও করতে হবে আমাদের। আমার মতে, পর্তুগাল উরুগুয়ের চেয়ে ভালো খেলেছে। আমাদের কিছু সুযোগ ছিল। কিন্তু ফুটবল এমনই, যারা বেশি গোল করে তারাই জিতে। আর এ কারণে উরুগুয়েকে অভিনন্দন জানাতে হবে।’
পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস অবশ্য আশাবাদী, রোনালদো পর্তুগালের হয়ে খেলে যাবেন, ‘ফুটবলকে এখনো দেওয়ার অনেক কিছুই বাকি আছে রোনালদোর মধ্যে। আমি আশা করি, সে তরুণ খেলোয়াড়দের গড়ে উঠতে সাহায্য করবে ভবিষ্যতের জন্য। তাঁর ছায়াতেই পর্তুগালের তরুণ প্রতিভারা নিজেদের মেলে ধরবে।’
বিশ্বকাপটা কী দুর্দান্তই না শুরু করেছিলেন রোনালদো! স্পেনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করলেন। দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকের গোল দেখল ফুটবল দুনিয়া তাঁর পা থেকে। দ্বিতীয় ম্যাচেও মরক্কোর বিপক্ষে গোল করে গোল্ডেন বুটের অন্যতম দাবিদার হলেন। কিন্তু বিশ্বকাপ যতই এগোল, রোনালদো কেমন যেন খোলসবন্দী হয়ে পড়লেন। ইরানের বিপক্ষে গ্রæপের শেষ ম্যাচে পেনাল্টি মিস করলেন। কাল উরুগুয়ের বিপক্ষে তো সেভাবে কোনো সুযোগই পেলেন না। নাগালের মধ্যে একটি ফ্রিকিক পেয়েছিলেন, কিন্তু সেটা দেয়ালে মেরে নষ্ট করেছেন।
২০০৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপে খেলেছিলেন রোনালদো। সেবার তাঁর দল সেমিফাইনালে উঠেছিল। ফ্রান্সের কাছে হেরে বড় স্বপ্নটা আর দেখা হয়নি তাদের। ২০১০ আর ২০১৪ বিশ্বকাপে রোনালদোর পর্তুগাল ছিল ব্যর্থ, রোনালদোও বলার মতো তেমন কিছু করতে পারেননি। ২০১৬ ইউরো জিতে পর্তুগাল রোনালদো-ভক্তদের আশাবাদী করে তুলেছিল। আরও আশাবাদী করেছিল রোনালদোর নিজের পারফরম্যান্সই। কিন্তু এক এডিনসন কাভানি আর উরুগুয়েই শেষ পর্যন্ত থামিয়ে দিল তাদের স্বপ্নযাত্রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।