বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
বাছাইপর্ব থেকেই ধুঁকতে থাকা আর্জেন্টিনা গ্রæপ পর্ব পেরুলো, তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গতপরশু রাতে কাজান অ্যারেনায় শেষ ষোলোয় ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। সারা বিশ্বের কোটি কোটি আর্জেন্টাইন ভক্তরা যেখানে শোকে মুহ্যমান, উত্তরসূরিদের এমন বিদায়ে অবাক নন ডিয়াগো ম্যারাডোনা! ফ্রান্সের কাছে হেরে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে আর্জেন্টিনার বিদায়টাকে ‘একটি মৃত্যু ঘোষণার উপাখ্যান’ হিসেবে দেখছেন কিংবদন্তি এই ফুটবলার। এ যেন ‘অধিক শোকে পাথর’ বনে যাওয়া।
আর্জেন্টিনার অন্য সব ম্যাচের মতো এটিতেও গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো দলের নায়ক মারাদোনা। নিজের দেশের এমন বিদায়ে অবাক হননি বলে জানালেন সাবেক এই ফুটবলার, ‘আমরা মাঠে নয়, অনেকটা সিনেমা হলে এসেছিলাম। কারণ আমরা একটা মৃত্যু ঘোষণার উপাখ্যান দেখতে এসেছিলাম। আর সেটাই ঘটেছে। ফ্রান্স মেসিকে দমিয়ে রেখেছিল, আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডকেও। মেসি ছাড়া আমরা সাধারণ একটি দল। আমরা যেমনটা ভেবেছিলাম ম্যাচটা সেভাবেই খেলা হয়েছে। আমরা যা আশা করছিলাম, তাই হয়েছে। আরও একটি বিশ্বকাপ চলে গেল। খালি হাতে ফিরলাম আমরা। আরও একটি বিশ্বকাপ হলো এবং আর্জেন্টিনা ভরসা করার মতো একটা দল গঠন করতে পারল না।’
ফ্রান্সের বিপক্ষে মেসিকে ‘ফলস নাইন’ হিসেবে খেলান সাম্পাওলি। আর গঞ্জালো হিগুয়াইন, সার্জিও আগুয়েরো ও পাওলো দিবালাকে বেঞ্চে রেখে ক্রিস্টিয়ান পাভোনকে শুরুর একাদশে রাখেন কোচ। তার এই কৌশলে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত স্বদেশের জাতীয় দলের কোচ থাকা ম্যারাডোনা, ‘ফরমেশন থেকে বোঝা গেছে পাভোন, মেসি ও ডি মারিয়াকে আক্রমণ করতে হবে। হ্যাঁ, তারা খেলা তৈরি করতে পারে কিন্তু তারা স্ট্রাইকার নয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।