গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারীতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২১জনের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম আজ এ কথা বলেছেন।
তিনি আজ শনিবার
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সিটিটিসি’র কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।।
মনিরুল ইসলাম বলেন, শিগগিরই এই মামলার চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দেয়া হবে। এই মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ২ জন আসামী পলাতক রয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে এবং বাকী ১৩ জন বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি বিরোধী হামলায় নিহত হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারীতে সন্ত্রাসী হামলার আগামীকাল রোববার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। এব্যাপারে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণ করতে রোববার চার ঘণ্টার জন্য হোলি আর্টিজান সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
তিনি বলেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নিহতদের স্বজন, বিভিন্ন দূতাবাস, পুলিশ, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভয়াবহ এই জঙ্গি হামলার পর নগরীর গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িটি থেকে হোলি আর্টিজান বেকারি সরিয়ে নিয়ে বসবাস উপযোগী করলেও সেখানে বাড়ির মালিক থাকেন না।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে নয়টার দিকে রাজধানীর গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত রেস্তোরায় ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে ২০ জন বিদেশি নাগরিকসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনকে জিম্মি করে রাখে। পরদিন শনিবার সকালে রেস্তোরায় জিম্মিদের উদ্ধারে কমান্ডো অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। বিদেশি নাগরিকসহ মোট ১৩ জনকে জীবিত এবং মোট ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম এবং বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।