পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গোপসাগরে প্রথমবারের মতো দুই দেশের সমুদ্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় বাংলাদেশ ও ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ ও টহল বিমানের (মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট) অংশগ্রহণে শুরু হচ্ছে যৌথ টহল-করপ্যাট। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি জলসীমা হতে এই টহল শুরু হয়ে ৩ জুলাই ভারতের বিশাখাপত্তমে পৌঁছে শেষ হবে।
সমুদ্র এলাকায় অবৈধভাবে মত্স্য আহরণ, চোরাচালান ও মানবপাচার, জলদস্যুতা ও সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিরসনের লক্ষ্যে এ যৌথ টহল পরিচালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে বানৌজা ঈসাখানের এসএমডব্লিউটি মিলনায়তনে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ ও ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল সুনীল লানবা।
যৌথ এ টহলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ও এমপিএ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ও এমপিএ অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশ ও ভারতীয় সমুদ্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় নিয়মিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রাথমিকভাবে এ কার্যক্রমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা আবু বকর’ ও ‘বানৌজা ধলেশ্বরী’ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস সাতপুরা’ ও ‘আইএনএস খেদমত’ অংশগ্রহণ করছে।
দুই দেশের এই যৌথ টহল বঙ্গোপসাগরে নিজ নিজ জলসীমায় সমুদ্র বিষয়ক অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান, তথ্যাদির সঠিক ব্যবস্থাপনা, সমুদ্রপথে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনাকারী জাহাজসমূহ চিহ্নিতকরণ ও বিভিন্ন অপরাধ নিরসনকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা রক্ষা, সমুদ্র নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবেলা ও সমুদ্র অর্থনীতির উন্নয়নে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে দুইজন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজযোগে এবং দুইজন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ভারতীয় নৌবাহিনী জাহাজযোগে বিশাখাপত্তমে যাবেন।
এ যৌথ টহল দুই দেশের জলসীমায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে নৌবাহিনী প্রধান উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, বিশাল সমুদ্র এলাকায় এককভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। এক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, এ সংক্রান্ত তথ্যাদির আদান-প্রদান এবং সমন্বিত নজরদারী সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তাকে জোরদার করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে; যা এ অঞ্চলের সমুদ্র বিষয়ক সচেতনতাকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। সেইসাথে বঙ্গোপসাগরে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ ধরণের যৌথ টহল আয়োজনের জন্য তিনি বাংলাদেশ ও ভারতীয় সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। একইসাথে যৌথ এ টহলকে ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
যৌথ এ টহলের সাফল্য কামনা করে ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি যুগান্তকারী সময় পার করছে। বিশাল সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঐতিহাসিক এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি। ভারত সব সময়ই বাংলাদেশের সাথে সহ-অবস্থানে থেকে বিশাল সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সন্ত্রাসবাদ দমন, যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা, সমুদ্র সম্পদ রক্ষাসহ ব্লু ইকনোমির উন্নয়নে একসাথে কাজ করে যেতে আগ্রহী। দুই দেশের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে নৌপ্রধানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এখন এগিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিত আইএমএমএসএআরইএক্স এর মতো আন্তর্জাতিক সমুদ্র মহড়া সফলভাবে শেষ করায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আইএসপিআর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।