পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ। এ কারণে তাকে পার্শ্ববর্তী বিশেষ আদালতে পাঠাতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এ খালেদা জিয়াকে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
তবে কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়াকে না পাঠিয়ে বিচারক ড. আক্তারুজ্জামানের আদালতে কাস্টডি ওয়ারেন্ট পাঠায়।
আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। কাস্টডি ওয়ারেন্ট বলা হয়েছে- ‘নট ফিট ফর টু ডে’।
দুদকের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এ দুটি মামলারই প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন।
আসামিদের মধ্যে জামিনে থাকা দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক। এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন।
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় দুদকের পক্ষ থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করা হয়। দুদকের করা ওই আবেদনের ওপর ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি হয়। শুনানি শেষে ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।
এরপর ২৮ মার্চ ও ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে হাজিরের দিন ধার্য থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাকে হাজির করা হয়নি বলে আদালতকে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ সাত বছর কারাদণ্ড দাবি করে দুদক প্রসিকিউশন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক।
তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।