পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে মদের (হার্ড ড্রিংকস) উপর কর কমানোর এবং সকল অবৈধ বারকে সরকারী অনুমোদন দেয়ার প্রস্তাব করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। তার এ প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ইসলাম ও দেশরক্ষা পরিষদের আহবায়ক নাসিমুর রহমান রেজভী এবং সদস্য সচিব মাওলানা আমিরুল ইসলাম কাসেমী। উল্লেখ্য গত ৭ জুন সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর অংশ নিয়ে মন্ত্রী বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে মদের উপর কর কমানোর প্রস্তাব করেছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মদ খাওয়ার উদ্দেশে পর্যটকেরা কোন দেশ ভ্রমণে যায় না। মদ খেতে ভ্রমণ করলে পর্যটকরা মদ যেখানে উৎপাদিত হয় সেদেশেই তারা যেতেন। আমাদের দেশে পর্যটকেরা দরকার হলে এয়ারপোর্টে ডিউটি ফ্রি শপ থেকে ব্যাগ ভর্তি করে মদ কিনে দেশে প্রবেশ করতে পারেন। তাই মন্ত্রীর প্রস্তাবে এটা পরিস্কার তিনি নিজ ও তার মতাদর্শের প্রয়োজনেই অন্যের পাত্রে তরকারী দেয়ার আহবান করেছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, মন্ত্রী তার প্রস্তাবে আরো বলেছেন, তারকা হোটেলে হার্ড ড্রিংকসের ওপর যে করারোপ করা হয়েছে, তা অত্যধিক। যেহারে ট্যাক্স নেয়া হয় এবং যে হারে বিক্রি করা হয়, তাতে বিদেশি যারা এদেশে আসেন, তারা খুশি থাকেন না। তারা এটা অপছন্দ করেন। মন্ত্রী আরো বলেছেন, দেশে এখন অনুমোদিত বারের সংখ্যা ৯৬টি। কিন্তু গুলশান-বনানীর রেস্তোরাগুলোতে যেকোনো ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যায়। কিন্তু তারা কর দেয় না। তাই মন্ত্রী সকল অবৈধ বারকে নির্র্দিষ্ট ফি নিয়ে সরকারী অনুমোদন দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। সুতরাং মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এটাই পরিষ্কার, তিনি ও তারা মতধারাদের স্বার্থেই ঢালাওভাবে মদ এবং মদের ব্যবসা বৈধ করার জন্যই এমন প্রস্তাব করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মুসলিম বাংলাদেশের সরকারের মন্ত্রীর এরূপ প্রস্তাব ইসলাম ধর্মের নির্দেশের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। তাই মন্ত্রীর উচিৎ- একজন মুসলমান হিসেবে মদের পক্ষে খোলাখূলি ভাবে দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাহার ও তওবা করে মুসলমানিত্ব বজায় রাখা। কারণ ইসলামের যে কোন নির্দেশের বিরোধীতা করলে তার মুসলমানিত্ব থাকে না। তাছাড়া বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ করা হবে না- গুরুত্বপূর্ণ এই ওয়াদা করে ক্ষমতায় বসেছেন। তাই মন্ত্রীর মদের প্রস্তাব মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত ও ইসলামের বিধি-নিষেদের পরিপন্থি। তাই মন্ত্রীকে মদের পক্ষে তার সকল প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।