Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেয়ারবাজারে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন

প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দিনভর সূচকের ওঠানামার পর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে। এর আগের টানা দুই কার্যদিবস দরপতন হয়। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন ও বাজার মূলধন। তবে কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় দিন শেষে উভয় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমকি ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৪০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক আগের দিনের চেয়ে ২ দশমকি ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৬টির, কমেছে ১৩৩টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টি কোম্পানির শেয়ারের। দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৪ কোটি টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে ৫৬ কোটি টাকা বেশি। সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৪১৮ কোটি টাকা।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ডোরিন পাওয়ার, আমান ফিড, লংকা-বাংলা ফিন্যান্স, কেয়া কসমেটিকস, বিএসআরএম লিমিটেড, ইবনে সিনা, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, বারাকা পাওয়ার, পাওয়ার গ্রিড এবং যমুনা অয়েল।
অন্যদিকে এদিন সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। গত সোমবার লেনদেন হয়েছিল ২৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে শেয়ার লেনেদেন কমেছে ৫৬ লাখ টাকার বেশি।
এদিন সিএসইতে প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ২৪২ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ১৫ দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৫৬৩ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ২ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে ৯৯০ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ১১০ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৪৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ১১৭টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ডোরিন পাওয়ার, কেয়া কসমেটিকস, লংকা-বাংলা ফিন্যান্স, বিএসআরএম লিমিটেড, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, বিএসআরএম স্টিল, বারাকা পায়ার, বেক্সিমকো লিমিটেড, যমুনা অয়েল এবং পদ্মা অয়েল।
গেইনারের শীর্ষে বিডি ওয়েল্ডিং : মঙ্গলবারের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বিডি ওয়েল্ডিং-এর শেয়ারের। এ দিন কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। সোমবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে মঙ্গলবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বৃদ্ধি হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সোমবার বিডি ওয়েল্ডিং-এর সমাপনী মূল্য ছিল ১৪ টাকা। মঙ্গলবার দিনশেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪ টাকায়। দিনের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দরসীমা ছিল ১৩ দশমিক ৯ টাকা থেকে ১৫ দশমিক ৪ টাকা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন ক্যাবলসের ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ, কেয়া কসমেটিকসের ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, আরামিটের ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ, এআইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বিএসসি’র ৪ দশমিক ১২ শতাংশ দর বেড়েছে। দরবৃদ্ধির এ তালিকায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
লুজারের শীর্ষে গেøাবাল ইন্স্যুরেন্স : মঙ্গলবারের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি দর কমেছে গেøাবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের। এ দিন কোম্পানিটির শেয়ারের দর কমেছে ১১ দশমিক ০২ শতাংশ। সোমবারের সমাপনী মূল্যের (ক্লোজিং প্রাইস) সঙ্গে মঙ্গলবারের সমাপনী মূল্যের পার্থক্য হিসাবে কোম্পানিটির এ দর কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সোমবার গেøাবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের সমাপনী মূল্য ছিল ১২ দশমিক ৭ টাকা।
মঙ্গলবার লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী মূল্য গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩ টাকায়।
দিনের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দরসীমা ছিল ১১ দশমিক ৩ টাকা থেকে ১২ টাকা।
দর হারানোর শীর্ষে থাকা অপর ইস্যুগুলোর মধ্যে— ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ডরিন পাওয়ারের ৬. দশমিক ৪৬ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশন্সের ৫ দেশমিক ৫৬ শতাংশ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ, ন্যাশনাল হাউজিং-এর ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ, ইডিবএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, কে অ্যান্ড কিউ-এর ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ, পিপলস লিজিং-এর ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ দর কমেছে। দর হারানোর তালিকায় সব ক্যাটাগরির কোম্পানিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেয়ারবাজারে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ