Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে উন্নয়ন বিতর্কে ফ্লাইওভার

প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রফিকুল ইসলাম সেলিম : চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দরনগরী চট্টগ্রামে একাধিক ফ্লাইওভার আদৌ প্রয়োজন কি না, তা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের।
তবে এই ইস্যুতে খোদ সরকারের এক মন্ত্রী ও সাবেক মন্ত্রীর প্রায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ফ্লাইওভার বিতর্কে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আয়োজনে এক সেমিনারে ফ্লাইওভার বিতর্কে জড়ান গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ও সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা: আফছারুল আমীন এমপি। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন নগর পরিকল্পনাবিদদের মতামতের সাথে একমত পোষণ করে ফ্লাইওভারের বিপক্ষে অবস্থান নেন। আর তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ডা: আফছারুল আমীন পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রীর দিকে রীতিমতো তেড়ে আসেন।
আর ততক্ষণে সেমিনার হলে উপস্থিত তাদের সমর্থকেরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। শনিবার রাতের সেই ঘটনার জের এখনও চলছে। প্রতিদিনই দুই নেতার পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ, সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দুই সিনিয়র নেতার এই মুখোমুখি অবস্থানে বিব্রত এখানকার সরকারি দলের শীর্ষ নেতারা। সরকারের হাইকমান্ডও এ ঘটনায় চরম বিরক্ত বলে জানা গেছে। দুই নেতার পক্ষে-বিপক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার নেতারা অবস্থান নিচ্ছে। এতে করে ওই দুই নেতার পক্ষে-বিপক্ষে সরকারি দলের রাজনীতিতেও নয়া মেরুকরণ শুরু হয়েছে।
বিগত ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে লালদীঘি ময়দানের শেষ নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গেলে চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ হাতে তুলে নেয়ার অঙ্গীকার করেন। সরকার গঠনের পর শুরু হয় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। এর ধারাবাহিকতায় বিগত ২০১০ সালের ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সফরকালে মহানগরীর ব্যস্ততম বহদ্দারহাট জংশনে একসাথে ৫টি ফ্লাইওভারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ’র উদ্যোগে সিডিএ জংশনে ৫টি ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা শুরুতেই বিতর্কের মুখে পড়ে।
সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিরা এ প্রকল্পের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রকৌশলী থেকে শুরু করে নগর পরিকল্পনাবিদেরাও কোনরকম সমীক্ষা ছাড়া বহদ্দারহাট মোড়ে ৫টি ফ্লাইওভার নির্মাণের বিরোধিতা করেন। বিরোধিতার মুখে প্রকল্প কাটছাঁট করে বহদ্দারহাটে মোড়ে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ শুরু করে সিডিএ। ফ্লাইওভার নির্মাণকালে দুই দফা দুর্ঘটনা ঘটে। গার্ডার ধসে প্রাণ হারায় অন্তত ১৫ জন। পঙ্গুত্ব বরণ করে আরও অনেকে। অবশেষে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ফ্লাইওভারের বাকি নির্মাণকাজ শেষ হয়। ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন। ১.৩৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে চার লেনের এই ফ্লাইওভারটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১২০ কোটি টাকা।
বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই কদমতলী জংশনে আরও একটি ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ শুরু করে সিডিএ। গত ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করেছেন। প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। তার আগে দেওয়ানহাট জংশনে একটি ওভারপাস তৈরী করা হয়। তারও আগে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টম ব্রিজ এলাকায় মহানগরীর প্রথম ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়।
এসব ফ্লাইওভার চালুর পর দেখা যায় ফ্লাইওভারগুলো তেমন ব্যবহার হচ্ছে না। ফ্লাইওভারের নীচে তীব্র যানজট লেগে থাকলেও ফ্লাইওভারের উপর কোনো যানবাহন নেই। অনেকটা ফাঁকা পড়ে থাকছে ফ্লাইওভারগুলো। নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্লাইওভারটি তেমন কাজে আসছে না। যানজট নিরসনেও এর কোনো ভূমিকা নেই। পরিকল্পিত চট্টগ্রামের সদস্য সচিব প্রকৌশলী সুভাষ বড়–য়া বলেন, এসব ফ্লাইওভার মহানগরীর মাত্র দুই শতাংশ মানুষ ব্যবহার করছে। যানজট নিরসনে এসব ফ্লাইওভার কোনো ভূমিকা রাখছে না। কোনপ্রকার সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়া শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে এসব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
মহানগরীর মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সর্ববৃহৎ ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলছে। পরবর্তীতে এটিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি নির্মাণ করছে সিডিএ। এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনও মহানগরীর কোতোয়ালি মোড় থেকে পুরাতন রেলস্টেশন এবং অলংকার চত্বর থেকে এ কে খান গেট পর্যন্ত আরও দু’টি ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নগর বিশেষজ্ঞরা যত্রতত্র এসব ফ্লাইওভার নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছেন। তারা বলছেন, মোড়ে মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ করে যানজট কমানো যাবে না বরং পরিকল্পিত উন্নয়নের যে সম্ভাবনা সেটা নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে। এসব প্রকল্পে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে কিন্তু জনগণ তার সুফল পাচ্ছে না।
এর প্রেক্ষাপটে শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে টেকসই জনবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে আইইবি চট্টগ্রাম। ওই সেমিনারে ফ্লাইওভার নিয়ে মতবিরোধে বিত-ায় জড়িয়ে পড়েন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন ও চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আফছারুল আমীন। ফ্লাইওভার নির্মাণের বিপক্ষে মত দিয়ে এমপির রোষানলে পড়েন এই মন্ত্রী; তার দিকে তেড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। বিত-ার জের ধরে অবশ্য শেষ পর্যন্ত ওই সেমিনার প- হয়ে যায়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। শুরুতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া ও নগর পরিকল্পনাবিদ আলী আশরাফ। এরপর বক্তব্য রাখেন স্থপতি তসলিম উদ্দিন ও জেরিনা হোসেন। তাদের প্রায় সবাই ফ্লাইওভার নির্মাণের বিরুদ্ধে নিজেদের অভিমত তুলে ধরেন। মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনও তাদের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, যখন বহদ্দারহাট, কদমতলী ও মুরাদপুর ফ্লাইওভার হচ্ছে তখন আমি মন্ত্রী থাকলে হয়তো অনুৎসাহিত করতাম। করলেও আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতাম। কিছু ফি দিলেই চুয়েট-বুয়েট সমীক্ষা প্রতিবেদন দেয়। বহদ্দারহাট ও কদমতলী ফ্লাইওভারে তেমন গাড়ি ওঠে না। গাড়ি না উঠলে তো একপর্যায়ে বিশ্বের অন্য দেশের মতো ফ্লাইওভার ভেঙে ফেলতে হবে।
প্রতিক্রিয়ায় সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমীন বলেন, মন্ত্রী না থাকলেও তখন আপনি এমপি ছিলেন। এর দায়দায়িত্ব আপনাকে নিতে হয়। এ সময় মন্ত্রী জবাব দেয়ার চেষ্টা করলেও বক্তব্য চালিয়ে যান আফছার। এরপর তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেছেন। পাবলিকলি এসব কথা (ফ্লাইওভারের বিরুদ্ধে) বলা উচিত না। পূর্তমন্ত্রীর আগ্রহে গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনার (মন্ত্রী) আগ্রহে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সুভাষ বড়ুয়াকে দিয়ে আপনি এ পেপার (প্রবন্ধ) উপস্থাপন করেছেন। পাশে বসে থাকা মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন এমপিকে উদ্দেশ করে বলতে থাকেন : আপনাকেও তো ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এমপি উত্তেজিত হয়ে চেয়ার থেকে উঠে মন্ত্রীর দিকে তেড়ে যান। এ অবস্থায় তাকে শান্ত করতে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম এগিয়ে আসেন। মন্ত্রী-এমপির বিত-ায় পুরো মিলনায়তনে হৈ চৈ শুরু হলে একপর্যায়ে তা দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতিতে রূপান্তরিত হয়। অনুষ্ঠান ত্যাগ করার সময় দুই নেতার সমর্থকরা সেখানে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়।
পরদিন এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মন্ত্রীর নির্বাচনীয় এলাকা মিরসরাইতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের দিকে তেড়ে যাওয়ার ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমীনের সংসদ সদস্যপদ বাতিল চেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। একই দিন সীতাকু- এলাকায়ও মন্ত্রী মোশাররফের পক্ষে রাস্তায় নামেন তার সমর্থকেরা। সমাবেশ থেকে ডা: আফছারুল আমীনকে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবি ওঠে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতারা আফছারুল আমীনের সংসদ সদস্যপদ বাতিলের জন্য স্পিকারের কাছে দাবি জানান।
এদিকে আফছারুল আমীনের সমর্থকরাও রাস্তায় নেমেছে। আফছারুল আমীনকে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য প্রত্যাহার করা না হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে আফছারুল আমীনের সমর্থকেরা। হালিশহর এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা সমাবেশ করে মোশাররফ হোসেনের কুশপুত্তলিকা দাহ করে। সমাবেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে আলটিমেটাম দেয়া হয়।
মহানগর এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায় দুই নেতার পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ হচ্ছে। এসব সমাবেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা বক্তব্য রাখছেন। জেলা এবং মহানগরের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নতুন মেরুকরণ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ব্যবসায়ী আবদুচ ছালামকে সিডিএ চেয়ারম্যান করা হয়। তার এ নিয়োগের বিরোধিতা করেন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। প্রকৌশলী আওয়ামী লীগ নেতারাও ছালামের বিরোধিতা করেন প্রকাশ্যে। একসময় মহিউদ্দিন চৌধুরীর হাত ধরে রাজনীতিতে আসা ছালাম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথেও বিরোধে জড়ান। অভিযোগ রয়েছে, প্রকৌশলগত দিক চিন্তা না করে রাজনৈতিক বিবেচনায় একের পর এক প্রকল্প গ্রহণ করছেন আবদুচ ছালাম। এতে করে মহানগরীর সৌন্দর্যহানি হচ্ছে সেই সাথে পরিকল্পিত মহানগরী গড়ার সম্ভাবনাও বিনষ্ট হচ্ছে।
নগর আওয়ামী লীগের বিরোধের সুযোগে ছালামের পক্ষেও নেতাদের অনেকে অবস্থান নেন। জানা গেছে, ডা: আফছারুল আমীন মূলত সিডিএ চেয়ারম্যান ছালামের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সাথে বিরোধে জড়ান। অভিযোগ রয়েছে, সিডিএ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে হলেও প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে মন্ত্রী কিংবা মন্ত্রণালয়ের কোনো পরামর্শ আমলে নিচ্ছে না সিডিএ। এ নিয়ে মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের সাথে সিডিএ চেয়ারম্যানের ঠা-া লড়াইয়ের কাহিনীও বাজারে চালু আছে। ফ্লাইওভার বিতর্ক নতুন করে চাঙা হয়েছে। আর এর সাথে চট্টগ্রাম অঞ্চলে শাসক দল আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলেও যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রামে উন্নয়ন বিতর্কে ফ্লাইওভার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ