পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা ঃ ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন, জনপথ ও নৌমন্ত্রী নিতিন গড়করি বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশে একটি বন্দর স্থাপনে গভীরভাবে আগ্রহী। এজন্য বাংলাদেশে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি পাঠিয়েছে ভারত সরকার। এ খবর দিয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এবং টাইমস অব ইন্ডিয়া।
নিতিন গড়কারি বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি বন্দর স্থাপনের সুযোগ খতিয়ে দেখছি যাতে আমাদের সম্পর্ক আরো মজবুত হয়। এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশে একটি কমিটি পাঠিয়েছি।
নয়াদিল্লিতে বিদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন ফরেন করেসপনডেন্টস ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে নিতিন বলেন, পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর হতে পারে দুটো দেশের মধ্যে সম্পকের্র প্রধান মাইলফলক। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এই সমুদ্রবন্দর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে এই বন্দরের নকশা ও তহবিল প্রস্তাব করেছে ভারত। ভারতের এই বন্দর নির্মাণের কাজ পাওয়ার অনেক সুযোগ আছে। যেহেতু এই বন্দর কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, আমাদের সমুদ্র উপকূল সীমান্তবর্তী এই বন্দর নির্মাণের কাজ চীন পেয়ে যাক, তা ভারত চায় না।
তিনি বলেন, কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং এরপরই বিনিয়োগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি জানান, বন্দর উন্নয়নের ব্যাপারে দুটি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই প্রাথমিক আলোচনা সেরেছে এবং ভারতের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করে প্রকল্পটির স্থান ও প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন পেশ করবে। ওই কমিটির সুপারিশের আলোকে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম বাড়ায় চট্টগ্রাম ও মংলার বাইরে আরেকটি সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর। রাবনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে এটি গড়ে তোলা হচ্ছে। এর নাম পায়রা বন্দর। ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এই বন্দরের উদ্বোধন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।