পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইয়াছিন রানা : আগামী একাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি যেন কোন উপায়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে না পারে সেজন্য দলটির কার্যক্রমের উপর তীক্ষè নজর রাখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নেতাদের মতে, বারবার আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বেশ হতাশ বিএনপি। তাই আন্দোলনের পরিবর্তে এক-এগারোর কুশিলবদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভিন্ন পন্থায় সরকারকে মরণ কামড় দিতে চায় তারা। সেজন্য নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে আওয়ামী লীগ।
সূত্র জানায়, বর্তমানে বিএনপি নেতাদের গতিবিধি, কার সঙ্গে কোথায় বেঠক করছেন, বিদেশ সফর, কূটণৈতিক যোগাযোগ, সংগঠনের নতুন কমিটি গঠন, অভ্যন্তরীন কোন্দল, কোন নেতার সঙ্গে কার খারাপ সম্পর্ক, মাঠ পর্যায়ে কারা সক্রিয় এসব বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের মতে, নির্বাচনকালীন সরকারকে টার্গেট করে বিএনপি আন্দোলন করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেসময় তারা শেষ মরণ কামড় দিতে চাইবে। তবে বারবার আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় দলের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে তাই ভিন্ন পন্থায় সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ক্ষমতায় আসতে এক-এগারোর কুশিলবদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। সেজন্য সতর্ক অবস্থানে আওয়ামী লীগ।
দলের নীতি-নির্ধারকদের মতে, আন্দোলন করে বিএনপি কোন কিছু করতে পারবে না। এ নিয়ে চিন্তারও কিছু নেই। এছাড়া তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এতো বেশি যে সংগঠন গোছগাছ করে আন্দোলন করার সুযোগ তারা পাবে না। তবে বিএনপির ষড়যন্ত্র নিয়ে সতর্ক রয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এক-এগারোর কুশীলবদের নিয়ে বিএনপির এবার সক্রিয়। থাইল্যান্ডের বৈঠক; আরও অনেক জায়গায় বিএনপি) ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঢাকাতেও এখানে-ওখানে গভীর রাতে বৈঠক চলছে। তারা মনে করছে, আমরা জানি না। সব খবরই জানা আছে। এবার কোনও ষড়যন্ত্র টিকবে না।’
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, দেশে কোনো আন্দোলন হবে না। কারণ, বিএনপির আন্দোলনে দেশের মানুষ সাড়া দেবে এমন কোনো বস্তুগত পরিস্থিতি দেশে বিরাজমান নেই। এদিকে দশম সংসদ নির্বাচনের সময় যে সরকার গঠন করা হয়েছিল, তাতে সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল অন্য দলগুলোকে স্থান দেওয়া হয়েছিল। বিএনপিকে তখন প্রস্তাব দেওয়া হলেও তারা তা গ্রহণ করেনি। তবে এবার সংসদে প্রতিনিধিত্ব না থাকায় নির্বাচনকালীন সরকারে তাদের অংশ নেবার সুযোগ নেই। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনের সময় নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে। শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা রয়েছে তাদের। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনের হুমকিও দিচ্ছে তারা।
এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলটির মতে, নির্বাচনকালীন সরকারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে। এবারও তা শুরু হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে থাকে। তাই বিষয়টি শক্ত হাতে মোকাবেলা করার কৌশল আওয়ামী লীগে। বিএনপি কোন কোন সংস্থা ও দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে তা নজওে রাখা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদেও সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করা হবে এবং দেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করবে আওয়ামী লীগ। গত মঙ্গলবার জার্মানির এ্যম্বাসেডর থমাস প্রিঞ্জ ধানমÐিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যলয় পরিদর্শন করেছেন এবং দলের সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।
এর আগে ২৮ মে বাংলাদেশের ‘চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি’ নিয়ে ঢাকায় দায়িত্বরত বিভিন্ন দেশের অর্ধ-শতাধিক কূটনীতিকদের ব্রিফ করে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ কমিটি। এছাড়া কূটণৈতিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ কমিটি চেয়ারম্যান এ্যম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, সভাপতিমÐলীর সদস্য কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণি, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ।
বিএনপির সাম্প্রতিক কার্যক্রমের বিষয়ে দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ইনকিলাবকে বলেন, বিএনপি বারবার আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে সরকারের তীক্ষè দৃষ্টি রয়েছে।
খাদমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তাই সব সময় তারা একই পন্থা অবলম্বন করতে চায়। সরকার তাদের বিষয়ে সজাগ রয়েছে, তারা কোন ভাবেই সফল হবে না।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, দেশের কোথাও এখন বিএনপিকে নিয়ে কোন আলোচনা নেই। বিএনপির বিষয়ে কারও কোন চিন্তাও নেই। তাই তাদের আন্দোলন নিয়েও আওয়ামী লীগ ভাবছে না। তবে দলটি সব সময় ষড়যন্ত্র করে, এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রতিহত করার মাধ্যমে জবাব দেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।