Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় পড়ার শঙ্কা

প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:২৮ এএম, ১২ এপ্রিল, ২০১৬

হাসান সোহেল : অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে সারাদেশের নিয়ন্ত্রক ও প্রতিরোধ সংস্থা আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ। স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও এর নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মন্ত্রণালয় মনোনীত করার কথা হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও আইনের তোয়াক্কা না করে ড. আতিউর রহমান গত বছরের মাঝামাঝি বিএফইইউর অপারেশনাল প্রধান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক জিএম দেবপ্রসাদ দেবনাথকে।
সর্বশেষ সংশোধিত আইন অনুযায়ী, বিএফআইইউ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কমিটিতে থাকা সদস্যরা যাতে পরবর্তীতে এই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদে আসতে পারেন সে জন্য তারা আইনে বিএফআইইউ’র দায়িত্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিবকে নিয়োগের কথা উল্লেখ করেছেন। তার পদমর্যাদা বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নরের সমান হবে বলে আইনে উল্লেখ আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার মতে, আইন সংশোধন কমিটিতে থাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সদস্যরা নিজেরাই যাতে পরবর্তীতে এখানে চলে আসতে পারেন সেভাবে আইন সংশোধন করা হয়েছে।
এদিকে বিএফআইইউকে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এটি প্রমাণ করতে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের (এপিজি) মূল্যায়ন এগিয়ে আনা হয়েছে। যথার্থ প্রস্তুতি না থাকায় এপিজি মূল্যায়ন বাংলাদেশের প্রতিকূলে যেতে পারে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে দেশের অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলেই বেশি পাচার হলেও এ নিয়ে বলার মতো পদক্ষেপ নেই। আর তাই ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া ওই মূল্যায়ন কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের সভাও হবে বাংলাদেশে। তাই এ নিয়ে বিপাকে রয়েছে বিএফআইইউ।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, আইনের তোয়াক্কা না করে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটিতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েই দেবপ্রসাদ দেবনাথ দক্ষ কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়েছেন। ব্যক্তিগত পছন্দের কর্মকর্তা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন। তাই বিভাগটিও নামকাওয়াস্তে চলছে মাত্র।
রাজনৈতিক দু-একটি ইস্যুতে চমকপ্রদ ভূমিকা রাখতে পারলেও অর্থপাচার ঠেকাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে বিএফআইইউ। আর তাই সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে বিদেশে অর্থপাচার হওয়ার বিষয়ে কোনো ধরনের মুখ খুলছে না প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে এর বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ইউনিট (বিএফআইইউ) সবার প্রশ্ন। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, উল্টো উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইন সংশোধন করে বিএফআইইউ ইউনিটকে কব্জায় আনার চেষ্টা করছে একটি চক্র।
সূত্র মতে, বিএফআইইউ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মানিলন্ডারিং আইন চারবার সংশোধন করা হয়েছে। সর্বশেষ করা হয়েছে ২০১৫ সালে। এর আগে ২০০২, ২০০৯ এবং ২০১২ সালেও আইন পরিবর্তন করা হয়। সর্বশেষ আইন করে বিএফআইইউকে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। আর এই আইন তড়িঘড়ি করে সংশোধন করায় নিজ ইচ্ছেমতো অনেক কিছুই সংযোজন করা হয়েছে। স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও আইন অনুযায়ী এর ব্যয়ভার বহন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি কি তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে। এছাড়া আইন অনুযায়ী, মানিলন্ডারিং একটি কমিটি থাকবে। এই কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোনো মামলা আদালতে পাঠানো যাবে না। আর বিএফআইইউর মানিলন্ডারিং কমিটি গঠিত হয়নি। তাই যত দিন কমিটি না হচ্ছে ততদিন মানিলন্ডারিং বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে ওই কমিটির ইচ্ছায় এখানকার সবকিছু পরিচালিত হবে। তাই কমিটি মনে করলে মামলা বা কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে, অন্যথায় না।
সূত্র মতে, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে কাজ করে বিএফআইইউ। কোনোভাবে যেন অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঘটনা না ঘটে সে জন্য ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পুঁজিবাজার, বিভিন্ন ব্যবসার জন্য আলাদা আলাদা গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুরক্ষিত রিজার্ভই চুরি হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি ব্যাংক ঘুরে ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কায় পাচার হয়েছে। সেখান থেকে অর্থ গেছে হংকংয়ে। দেশে এবং বিদেশে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ সংস্থা যেমন এপিজি, এগমন্ট গ্রুপের সদস্য। প্রায় ৪১টি দেশের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিও রয়েছে পাচারকৃত অর্থের তথ্য আদান-প্রদান করার জন্য। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অর্থ ফেরত আনতেও পারে বিএফআইইউ। কিন্তু রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তদন্তকাজ থেকে শুরু করে অর্থ ফেরত আনার বিষয়েও নীরব রয়েছে বিএফআইইউ।
তবে এর আগে আরাফাত রহমান কোকোর পাচারকৃত টাকা ফেরত আনার সাফল্য ফলাও করে প্রচার করেছে বিএফআইইউ। এছাড়া বাংলাদেশের ভেতরে সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পেশাজীবীর ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়টি উদ্ঘাটন করেছে বিএফআইইউ। দু-একটি ঘটনা বেশ ফলাও করে প্রচার করলেও অর্থপাচার ঠেকাতে পারেনি বিএফআইইউ। প্রতি Ÿছরই বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের নামে ব্যাংকিং চ্যানেলেই বেশির ভাগ অর্থপাচার হয়েছে। প্রতি বছরই পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ বাড়ছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদন বলছে, গত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে ৫ হাজার ৫৮৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা টাকার অঙ্কে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪০ কোটি। এই অর্থ চলতি অর্থবছরের মোট বাজেটের প্রায় দেড় গুণ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রিজার্ভ চুরির বিষয়টি গোপন রাখার জন্য সদ্য পদত্যাগকারী গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে যারা পরামর্শ দিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বিএফআইইউয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত জিএম দেবপ্রসাদ দেবনাথ। বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মকর্তাদের নজিরবিহীন আন্দোলনকে উপেক্ষা করে নিজের স্বার্থ বাস্তবায়নে দেবপ্রসাদকে নিয়োগ দেন ড. আতিউর রহমান।
রিজার্ভ চুরির ঘটনা জানার পরও অদক্ষতার জন্য বিএফআইইউ কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ফিলিপাইনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক থাকা সত্ত্বেও সেখানে গিয়ে বিষয়টির কোনো কূলকিনারা করতে পারেননি বিএফআইইউয়ের এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা ১৭ দিন ফিলিপাইনে ছিলেন। তার অবস্থানকালের মধ্যেই ফিলিপাইনের ব্যাংক, ক্যাসিনো ঘুরে চুরি হওয়া অর্থ অন্য দেশে পাচার হয়ে গেছে। ওই কর্মকর্তাকে আবারো অর্থ ফেরত প্রক্রিয়া তদারকি করতে ফিলিপাইনে পাঠানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিএফআইইউয়ের সক্ষমতা নষ্ট হয়েছে দেবনাথকে নিয়োগ দেয়ার পর থেকে। ড. আতিউর রহমান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগের তৎকালীন সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক একজন অতিরিক্ত সচিব, বর্তমান একজন অতিরিক্ত সচিব ও একজন উপসচিব আইন লঙ্ঘন করে নতুন আইন তৈরি করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন। রেজওয়ানুল হক নামে ওই উপসচিব মানিলন্ডারিং ইস্যুতে গত কয়েক বছরে শতাধিকবার বিদেশ সফর করেছেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তাদেরও বিদেশ সফরের ব্যবস্থা করেছেন দেবপ্রসাদ দেবনাথ।
এছাড়া সুপারি রপ্তানির নামে শত কোটি টাকা নগদ সহায়তা হিসেবে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এই বিএফআইইউয়ের কয়েক কর্মকর্তা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে দেবপ্রসাদ দেবনাথ নিয়োগ পাওয়ার পর এখানকার ৫ অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেন। তারা হলেন- উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: নজরুল ইসলাম, কাজী আকতারুল ইসলাম, এ কে এম এহসান, মো: আবু জাফর এবং মো: আব্দুল হালিম-২।
বর্তমানে নিজের পছন্দের লোকদের দিয়ে তিনি কর্মকা- পরিচালনা করছেন। এর মধ্যে গত অক্টোবরে বাংলাদেশের মিউচুয়াল ইভালুয়েশন প্রক্রিয়া শেষ করতে বাংলাদেশ সফর করে গেছে এপিজি। ওই রিপোর্ট প্রকাশ হবে আগামী জুলাইয়ে। রিপোর্টে বাংলাদেশ মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের আন্তর্জাতিক ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ওই মূল্যায়ন হওয়ার কথা ছিল ২০১৭ সালের অক্টোবরে। কিন্তু দেবপ্রসাদকে জিএম হিসেবে নিয়োগ দিতে গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টরা ওই সময় এগিয়ে নিয়ে আসেন। কিন্তু এটি করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বিএফআইইউ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং শাখা এ বিষয়ে আপত্তি জানালে বিদেশ সফরে ব্যবস্থা করে তাদেরকে সন্তুষ্ট করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় কো-অর্ডিনেশন কমিটির মতামতকেও গুরুত্ব দেয়া হয়নি। বাংলাদেশে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ১১টি কৌশল নিয়ে জাতীয় কৌশলপত্র তৈরি করা হয়েছে। গৃহীত কৌশল বাস্তবায়নের পর মিউচুয়াল ইভালুয়েশন হলে বাংলাদেশের রেটিং ভালো হতো। এতে এফএটিএফ-এর কালো তালিকায় পড়তে হতো না। কিন্তু তড়িঘড়ি করে দেবনাথকে চুক্তিভিত্তিক জিএম করার জন্য ওই ইভালুয়েশন এগিয়ে আনা হয়েছে।
একাধিক কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যথাযথ প্রস্তুতির পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ায় বাংলাদেশ এখন ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের ভাবমর্যার্দা ব্যাপকভাবে ক্ষুণœ হতে পারে। আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগও কমে যাবে।



সপ্তাহ ব্যবধানে আবারো বোর্ডসভা বাংলাদেশ ব্যাংকের
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রথম সভায় রিজার্ভ চুরি ও ফেরত আনাসহ সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা হওয়ায় ব্যাংকের অন্যান্য বিষয় বাদ যাওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো বোর্ডসভা ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামীকাল (বুধবার) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১৭১তম বোর্ডসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র মতে, রিভার্জ চুরির ঘটনার পর সাইবার নিরাপত্তায় গৃহীত পদক্ষেপ, ফিলিপাইন থেকে টাকা ফেরত আনা ও তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১৭০তম বোর্ড সভায়। ৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়া পরিচালনা পরিষদের ওই সভাটি ছিল নতুন গভর্নর ফজলে কবিরের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সভা। রিজার্ভের টাকা চুরি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বিশদভাবে আলোচনা হওয়ায় এর বাইরের এজেন্ডাগুলো সেই সভায় উপস্থাপন করা হয়নি। যে কারণে ১৩ এপ্রিল পুনরায় বোর্ডসভা ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, ১৩ এপ্রিল বোর্ডসভা ডাকা হয়েছে। তবে জরুরি কোনো ইস্যুতে নয়। ৬ তারিখের সভাটি একটু দেরিতে হওয়ায় অনেক এজেন্ডা জমা পড়েছে। তাছাড়া রিজার্ভ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরো আলোচনার প্রয়োজন বোধ করায় সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো বোর্ডসভা আহ্বান করা হয়েছে।
নতুন গভর্নর ড. ফজলে কবির ছাড়াও ৬ সদস্যের পরিচালনা পরিষদে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা: জামালউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক রুশিদান ইসলাম রহমানেরও প্রথম বোর্ডসভা ছিল ৬ এপ্রিল। এছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুব আহমেদ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান পরিচালনা পরিষদের সদস্য হিসেবে সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, নতুন গভর্নরের প্রথম বোর্ডসভায় শুধু রিভার্জ চুরি সংশ্লিষ্ট বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা হওয়ায় অন্য কোনো এজেন্ডা উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো একটি বোর্ডসভা ডাকা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান গত ১৫ মার্চ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে ফজলে কবির নতুন গভর্নর হিসেবে যোগদান করেন।



 

Show all comments
  • Nazib ১২ এপ্রিল, ২০১৬, ৩:২১ এএম says : 0
    Dr. Atiur is still enjoying his retirement - what a shame! Arrest this ............ and his appointed gangs then prosecute them for treason!!!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় পড়ার শঙ্কা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ