Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে খাবার পানির হাহাকার

প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফয়সাল আমীন, সিলেট অফিস: নগরীতে পানি সরবরাহ করতে পারছে না সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। তাই নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় খাবার পানির হাহাকার চলছে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ভুক্তভোগিরা। বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়ে যাওয়ায় সিটি করপোরেশন পরিচালিত উৎপাদক নলকূপ ও পাম্পগুলোও ঠিকমতো সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, পানির সরবরাহের দাবিতে নগরীতে মোট ৬টি পানি পাম্পে তারা দিয়েছে স্থানীয় জনতা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ১০ দিন থেকে নগরীর রায়নগর, দর্জিবন্দ, ঝেরঝেরিপাড়া, কাজিটুলা, লাক্কাতুড়া, টিলাগড়, টিভি গেইট, শাহী ঈদগাহ, ঝর্ণারপাড়, রাজবাড়ি, সোনাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি সরবরাহ দিচ্ছে না সিসিক। ফলে ওই সব এলাকায় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে দূর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। শাহী ঈদগার বাসিন্দা সাইদুজ্জামান হিরো জানান, গত ১০ দিন থেকে তাদের এলাকায় পানি নেই। তাই গতকাল সোমবার তারা দুপুর ১২টার দিকে নগরীর শাহী ঈদগাহ, শাহ্ মিরাজ, কাজিটুলা, লাক্কাতুড়া, টিভি গেইটে দুইসহ মোট ৬টি পানি পাম্পে তালা দিয়েছেন। কাজিটুলার গৃহীনি হুসনা বেগম জানান, গত ১০ দিন থেকে তাদের ঘরে খাবার পানি দিচ্ছে না সিসিক। এতে তারা বাহিরে থেকে পানি ক্রয় করতে হচ্ছে।
সিসিক সূত্র জানায়- সিলেট নগরীতে প্রতিদিন খাবার পানির চাহিদা রয়েছে ৮ কোটি লিটার। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে সিটি করপোরেশনের একটি শোধনাগার ও ৩০টি পাম্প দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি লিটার পানি সরবরাহ সম্ভব হয়। এছাড়া কিছু কিছু বাসা-বাড়িতে ব্যক্তি উদ্যোগে গভীর নলকূপ বসিয়ে পানির চাহিদা পূরণ করা হয়। এরপরও প্রতিদিন চাহিদার অর্ধেকের চেয়ে বেশি পানির ঘাটতি থাকে। সূত্র আরও জানায়- গরম শুরু হতে না হতেই সিলেট নগরীর প্রায় সকল মসজিদে এসি চালানো হয়। এছাড়াও বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসি চালানো হয়ে থাকে। এতে লোড নিতে না পেরে বিভিন্ন এলাকার সঞ্চালন লাইন ও ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে পানি উত্তোলনে। বিদ্যুৎ না থাকলে বন্ধ রাখতে হয় সিসিক’র পাম্পগুলো। এতে পানি সংকট আরও প্রকট হয়ে দাঁড়ায়।
তবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিসিকের পানি শাখার প্রকৌশলী আলী আহমদ জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়ে যাওয়ায় সিটি করপোরেশন পরিচালিত নলকূপ ও পাম্পগুলো ঠিকমতো সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
সিসিক’র প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নূর আজিজুর রহমান জানান, এমনিতেই নগরীর চাহিদার অর্ধেক পানিও সরবরাহ সম্ভব হয় না। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পাম্পগুলো বন্ধ থাকায় পানির সংকট আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। কোথাও কোথাও পাম্প বিকল হয়ে পড়ছে। এগুলো মেরামত করে পুনরায় পানি সরবরাহ শুরু করা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেটে খাবার পানির হাহাকার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ