পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। এছাড়া শোভাযাত্রা ও বড় বড় গণজমায়েতে যাওয়ার আগে শিশুদের পকেটে মোবাইল ফোন নম্বর ও ঠিকানা লিখে রাখার প্রয়োজন। কারণ জনসমুদ্রে শিশুরা হারিয়ে গেলে তাদের সঙ্গে ফোন নন্বর থাকলে অভিভাবকদের খুঁজে বের করতে পুলিশ সহযোগিতা করতে পারবে।
গতকাল বেলা ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে পয়লা বৈশাখে নিরাপত্তা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ কথা বলেন। কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সম্মানিত নগরবাসীকে জননিরাপত্তার স্বার্থে বিনীতভাবে অনুরোধ করব, পরামর্শ দেব, বিকেল ৫টার পর উন্মুক্ত স্থানে কোনো কনসার্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা নৃত্যানুষ্ঠান করা যাবে না। এটা ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। তবে ইনডোরে সুরক্ষিত স্থানে রাতে বা সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান করা যাবে। এ জন্য নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের দিন উৎসবে মেতে উঠবে রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ। এদিন রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্পটে অতিরিক্ত জনসমাগম হবে। জনসমুদ্রে পরিণত হবে রমনা বটমূল ও টিএসসি। আর এই ভিড়ে শিশুরা হারিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের সহজেই খুঁজে পেতে তাদের পকেটে ঠিকানা, ফোন নম্বর সম্বলিত একটি চিরকুট রাখার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ঢাকাবাসীর উদ্দেশে ডিএমপি বলে, আপনার সঙ্গে শিশু-কিশোর থাকলে অবশ্যই তাদের পকেটে চিরকুটে আপনার বাসার ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় মোবাইল নম্বর লিখে রাখুন। এছাড়া প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিন। এছাড়া ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলে পূর্বেই নির্ধারণ করে রাখুন কোথায় এবং কখন মিলিত হবেন।
তিনি বলেন, গত বছরের মতো যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, এজন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, রমনা পার্ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব এলাকা থাকবে সিসিটিভির আওতায়।
ডিএমপি কমিশনার গত বছরের নববর্ষে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আসন্ন পয়লা বৈশাখের নিরাপত্তা উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগ, রমনা ও রবীন্দ্রসরোবর এলাকায় নয়টি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু হবে পয়লা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠান। এ ছাড়া জামতলায় ডিএমপির পক্ষ থেকে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে, যা বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, রমনা শাহবাগ এলাকায় পুলিশের ফুট প্যাট্রোলিং ব্যবস্থা থাকবে, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করা হবে। তিনটি কন্ট্রোল রুম থাকবে। পকেটমার, ছিনতাইকারী, ইভটিজার প্রতিরোধে বিশেষ টিম থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেবে। এ ছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে থাকবে সাদা পোশাকধারী পুলিশ। আর ডিএমপির অর্থায়নে বিনা মূল্যে মিনারেল ওয়াটার বিতরণ করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আটটি স্থানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান বিকেল পাঁচটার মধ্যে শেষ করতে হবে। সেন্ট্রাল মাইকিং সিস্টেম থাকবে। পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান এলাকায় ১৩ এপ্রিল ভোর ছয়টা থেকে ১৪ এপ্রিল রাত নয়টা পর্যন্ত বহিরাগত কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি চলাচল করতে পারবে। ভুভুজেলা বাঁশি বিক্রি, বিতরণ ও বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এগুলোর শব্দ বিরক্তিকর ও নারীদের উত্ত্যক্ত করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে কোনো ধরনের হুমকি নেই। তবে নগরবাসী যাতে আনন্দঘন পরিবেশে বৈশাখের অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারে, সে লক্ষ্যে ডিএমপি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ডিবি অ্যান্ড প্রসিকিউশন দিদার আহমেদ, ক্রাইম অ্যান্ড অপস শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমস ইউনিটের মো. মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার (অপস) মীর রেজাউল আলম, যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায়, গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।