পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে শত নাগরিক কমিটির মৌন অবস্থান কর্মসূচি পুলিশের বাধায় পÐ হয়ে গেছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই অবস্থান কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ, কবি, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট নাগরিকগণ। শান্তিপূর্ণভাবে মৌন অবস্থান করতে না দেয়া দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও শত নাগরিক জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঈদের আগে মানবিক কারণে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য মৌন অবস্থান কর্মসূচি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশি বাধার মুখে বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি। দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের এমন একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি করতে না দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়। এতে বোঝা যায় দেশে গণতন্ত্রের কি অবস্থা। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শত নাগরিক জাতীয় কমিটি আহ্বায়ক প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে বিশিষ্টজনেরা শহীদ মিনারে সমবেত হন। কিন্তু পুলিশের বাধা পেয়ে সেখান থেকে চলে যান তারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, চিকিৎসক ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঈদের আগেই মানবিক কারণে মুক্তির দাবিতে শত নাগরিক কমিটির মৌন অবস্থান কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পÐ হওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ নিন্দা জানান। তিনি বলেন, মানবিক কারণে ঈদের আগেই দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে দেশের বিশিষ্টজনদের সংগঠন শত নাগরিক কমিটি সকাল ১০টায় জাতীয় শহীদ মিনারে মৌন অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। যথাসময়ে শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, চিকিৎসক ও আইনজীবীরা শহীদ মিনারে উপস্থিত হন। পুলিশ বিনা উস্কানীতে মৌন অবস্থান কর্মসূচি পÐ করে দেয়। ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদসহ দেশের বিশিষ্ট জনদের সাথে নির্দয় আচরণ করে। দলের পক্ষ থেকে তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।