পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঈদের আগেই চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসা দাবি করেছে বিএনপি। এই দাবিতে আগামী ১৪ জুন সারাদেশে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করবে দলটি। গতকাল (সোমবার) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রিজভী বলেন, গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যে তাচ্ছিল্য ও অবহেলা চলছে তাতে গভীর আশঙ্কা হয় সরকার বেগম জিয়াকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার মহাচক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। ইউনাইটেড হাসপাতালে উন্নতমানের চিকিৎসার দাবি উপেক্ষা করে সরকার তাঁকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলে চলেছে। সেখানে তো সব দলবাজ চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরকে তো আগেই সেখান থেকে চাকুরীচ্যুত করে বিদায় দিয়ে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের দলবাজ চিকিৎসকদের দ্বারা বেগম জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা হবে না, কেননা তাদের ওপর বেগম জিয়া এবং দেশের মানুষের কোন আস্থা নেই। তার পরেও সরকার জবরদস্তিমূলকভাবে বেগম জিয়াকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলা দূরভিসন্ধিমূলক, সুপরিকল্পিত চক্রান্ত। বেগম জিয়া পিজিতে চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন না অভিযোগ করে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা নিরাপদ মনে করেন না বলেই তিনি সেখানে চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন না। দেশের জনগণ বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে চরম উৎকন্ঠিত। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকারি নোংরা চাতুরীটা রীতিমত উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের অশুভ সংকেত। বিএনপির এই নেতা অবিলম্বে ইউনাইটেড হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তি ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এক অমানবিক প্রতিহিংসার শিকার বেগম জিয়া এখন গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে বিধ্বস্ত, অবাসযোগ্য, অন্ধকার গুহার ন্যায় একটি কক্ষের মধ্যে বন্দী। তিনি চিকিৎসাবঞ্চিত, তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘিত, বেঁচে থাকার অধিকার অপহৃত। তিনি গত ৫ জুন ‘ট্রানজিয়েন্ট স্কীমিক এ্যাটাক’ (টিআইএ) এ ৫/৬ মিনিট অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন, অথচ দুই দিন পর বেগম জিয়ার নিকটাত্মীয়রা তাঁর সাথে দেখা করে আসার পর ঘটনা আমাদেরকে অবহিত করার পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত কারা কর্তৃপক্ষ নিরব নিশ্চুপ থেকেছে। আমরা গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সোচ্চার হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানে না বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন। তাহলে কী দেশনেত্রীর জীবন ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিতেই কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে?#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।