পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নতুন গাড়ির চেয়ে পুরনো গাড়ি আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক বাড়ানো হয়েছে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে। তাই, একে ‘ধনীদের বাজেট’ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস্ ইম্পোর্টার্স ডিলারস এসোসিয়েশন-বারভিডা।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাজেটোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বারভিডার সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, নতুন গাড়ি আমদানিতে কর ফাঁকিতে সরকারের রাজস্ব প্রাপ্তি অনেক কমে গেছে। অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, কোন অবস্থাতেই নতুন গাড়ির শুল্ককর রিকন্ডিশন গাড়ির চেয়ে কম হতে পারেনা। অথচ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনাও নিদারুণভাবে উপেক্ষিত।
তিনি বলেন, জনবান্ধব সরকারের কাছে আমরা ভোক্তা প্রিয় নিরাপদ টেকসই ও সঠিক রাজস্ব প্রদায়ী গাড়ি হিসাবে রিকন্ডিশন মোটরযান আমদানি, বিপনন ও ব্যবহারের আরও বেশি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড উপযোগী করতে একটি স্থিতিশীল ও গ্রহণযোগ্য শুল্ক নীতিমালার আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বারভিডা সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, ধনীদের জন্যই এ বাজেট করা হয়েছে। নতুন গাড়ির সম্পূরক শুল্কে হাত দেয়া হয়নি। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এ বাজেটে কোন সুসংবাদ নেই। নতুন গাড়ির শুল্ক পুরাতন গাড়ির চেয়ে কম হতে পারেনা, অর্থমন্ত্রী এটা নিজে বলেছেন, কিন্তু সেখানেও এনবিআর তা বাস্তবায়ন করেনি। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিকন্ডিশন গাড়ির শতভাগ জাপান থেকে আসে। দুই থেকে তিন হাজার কিলোমিটার ব্যবহারের পর অনেকেই তা বিক্রি করে দেয়। আমরা দুই বছরের অবচয় সুবিধা পাই, দুই বছরের পাইনা। এসময় তিনি বাংলাদেশ ভারতীয় গাড়ির ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।