পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গত সপ্তাহের তুলনায় রাজধানীর কাঁচাবাজারে সবজি ও ব্রয়লার মুরগীর দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি মুরগি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে। সে হিসেবে মুরগীর দাম বাড়িয়ে ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। এছাড়া প্রতিটি সবজির কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা দাম বেড়েছে।
জিগাতলা কাঁচাবাজারেই নিয়মিত বাজার করেন আব্দুর রাজ্জাক। গতকালও সেখানে বাজার করতে এসে জানান, গত সপ্তাতে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা কেজিতে কিনেছি। আজ ১৭০ টাকার নিচে বিক্রি করছে না। বাধ্য হয়েই দোকানিদের চাওয়া দামেই কিনতে হচ্ছে।
বাজার ঘুরে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি ছাড়া দেশি মোরগ বড় প্রতিটি ৫০০ টাকা, মাঝারি ৩০০ টাকা, ছোট ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং কক মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগি ব্যবসায়ীরা বলেন, সামনে ঈদ তাই এখন আর মুরগির দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এখন প্রতিদিন বাড়তেই থাকবে।
শুধু ব্রয়লার মুরগীই নয়, দাম বেড়েছে বিভিন্ন সবজিরও। সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ২০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এ সপ্তাহে তা হঠাৎ করে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারওয়ান বাজার থেকে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা দরে কিনে এনেছি। এ ছাড়া প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ৫/৬ টাকা বেড়েছে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে জিগাতলা কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী নজরুল বলেন, মোকামেই দাম বেশি। তারা বলছেন, অতিবৃষ্টিতে তরকারি নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে দাম বাড়ছে। রাজধানীর অন্যান্য বাজারে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত দামে গরুর মাংস বিক্রি হলেও জিগাতলায় তা প্রতি কেজি ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছে।
এছাড়া গতকাল সকালে রাজধানীর জিগাতলা ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শশা, পোটল, কচুর লতি, চিচিঙ্গা ও বরবটি ৪০ টাকা, করলা, টমেটো, কচুরমুখি ৫০ টাকা, পেপে, ঢেঁড়স ও কাকরোল ৩০ টাকা, ধনেপাতা ৮০ টাকা, আলুর কেজি বগুড়া ৩০ টাকা এবং বড় হল্যান্ড ২৫ টাকা, লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং জালি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, নলা ১৮০ টাকা, চিংড়ি বড় ৭৫০ টাকা, ছোট ৪০০ টাকা, শিং ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ টাকা, রুপচাঁদা ১ হাজার টাকা, আইড় ৫০০ টাকা, ইলিশ ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং চাষের কৈ মাছ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।