Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দুই শেয়ারবাজারে মূল্য সংশোধন

প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রোববার সপ্তাহের প্রথম লেনদেন দিবসে দেশের উভয় বাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। গত কয়েকদিন টানা সূচক বাড়ার পর বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতায় বিক্রয় চাপে সূচকের পতন হয়েছে। তবে সূচক কমলেও লেনদেনের পরিমাণ সামান্য বেড়েছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২২ মার্চ থেকে টানা ৫ দিনের পতনে ২৮ মার্চ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইক্স) ৪৩০২ পয়েন্টে নেমে আসে। তবে এরপর বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে এবং তারই ধারাবাহিকতায় সূচক ৪৪০০ পয়েন্টের উপরে উঠে আসে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচক ৪৪৪৩ পয়েন্টে উন্নীত হয়। এ সময়ে ৮ কার্যদিবসের মধ্যে ৭ কার্যদিবসই সূচক বেড়েছে। মাত্র ১ কার্যদিবস মূল্যসূচকের পতন হয়েছিল। রোববার চলতি সপ্তাহের প্রথম দিনে সূচকের পতন হয়েছে ১১ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট। সূচকের এ পতনের ফলে দিনশেষে ডিএসইএক্স ৪৪৩১ দশমিক ১২ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতার কারণে বাজারে মূল্য সংশোধন হয়েছে। এটিকে বাজারের স্বাভাবিক আচরণ বলেও মন্তব্য করেন তারা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩১৯টি ইস্যুর মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ৯৯টির, কমেছে ১৮৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির দর।
এদিকে, রবিবারও ৪০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়েছে। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৪৬৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবারের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি টাকা। লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ডরিন পাওয়ার। দিনশেষে কোম্পানিটির ৩২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিএসআরএম লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৯৪ লাখ ৭ হাজার টাকা। ১৫ কোটি ৯৮ লাখ ২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কেয়া কসমেটিকস। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে তিতাস গ্যাস, আমান ফিড, ইবনে সিনা, পাওয়ার গ্রিড, এসিআই, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মা।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসসিএক্স ২২ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে দিনশেষে ৮২৮১ দশমিক ৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৪৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দর।
মার্চে ডিএসইর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বেড়েছে: চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে শেয়ার লেনদেন থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আদায় বেড়েছে।
সরকার মার্চ মাসে ১১ কোটি ৮৪ লাখ ২৯ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় করেছে। ফেব্রæয়ারি মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা। ডিএসই থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কাছ থেকে লেনদেনের ওপর মার্চ মাসে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। একইসঙ্গে উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বিক্রয় বাবদ আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
অপরদিকে ফেব্রæয়ারি মাসে ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কাছ থেকে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ২১ হাজার টাকা ও উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বিক্রয় বাবদ ২ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার টাকার রাজস্ব পেয়েছে সরকার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুই শেয়ারবাজারে মূল্য সংশোধন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ