পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দুরাচার জনৈক আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের ওলী-আউলিয়াগণের বিশেষ করে হযরত শাহ্ জালাল (রহ:) সম্পর্কে অশালীন ভাষা প্রয়োগ এবং জঘন্য মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন আঞ্জুমানে আল রাইয়্যিনাতের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক এবং কসরে হাদী খানকার পীর সাহেব। পৃথক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ওলী-আউলিয়াগণের বিরুদ্ধে জঘন্য মন্তব্য ও অশালীন ভাষা ব্যবহার করে দুরাচার রাজ্জাক বিন ইউসুফ কোরআন হাদিসের মতে দাজ্জালে কাজ্জাব ও জারজ। তার ঔদ্ধত্যের জন্য সারাদেশে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। বিবৃতিতে তারা দাজ্জালে কাজ্জাবের সকল কর্মসূচি প- ও প্রতিহতের জন্য ওলী-আউলিয়া ভক্তগণের প্রতি আহ্বান জানান।
আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম
আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম বলেছেন, বিতর্কিত রাজ্জাক বিন ইউসুফ দাজ্জালে কাজ্জাব। শুধু সিলেট নয় সারাদেশে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, মেশকাত শরীফে ইরশাদ হয়েছে, মূল দাজ্জাল আসার পূর্বে আখিরী জামানায় এমন কিছু দাজ্জালের চেলা বের হবে এবং তারা এমন সব কথা বলবে, যা তোমরাও শোনোনি, তোমাদের বাপ-দাদারাও শোনেনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের বাপ-দাদাগণ সুদীর্ঘকাল ধরে হযরত শাহজালাল, হযরত শাহ্পরান রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে আসছে। তারা জানে হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহির অবদানে এ অঞ্চলের মানুষ মুসলমান হয়েছে এবং একথা তারা দ্ব্যর্থহীনভাবে স্বীকারও করে আসছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রীসহ সকল রাজনৈতিক নেতারাও হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহির মাজার জিয়ারত করে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করে। এর দ্বারা প্রমাণ হয়, এদেশের সাধারণ জনগোষ্ঠী এ হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহিকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে এবং পবিত্র কুরআন শরীফের সূরা ক্বলমের ১৩নং আয়াত শরীফের দ্বারা প্রতিভাত হয়-ইউসুফ গংরা জারজ সন্তান, অজ্ঞসহ ১০ দোষের দোষী।
উপরিউক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা ইউসুফ গংরা যে দাজ্জালে কাজ্জাব ও জারজ তা প্রমাণিত।
হাদিছে কুদসি শরীফে মহান আল্লাহ পাক বলেছেন, আমার ওলীদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে, তাদের বিরুদ্ধে আমি জিহাদ ঘোষণা করি। অতএব, এই হাদিছ শরীফ অনুযায়ী ইউসুফ গংদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লানত বর্ষিত হবে। লানতি ইউসুফ দেশে থাকলে দেশ ও জনগণ এবং ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতির কারণ হবে। তাই এই লানতি ইউসুফকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে এবং তার সকল মাহফিল প- ও প্রতিহত করতে হবে। মুহম্মদ মাহবুব আলম বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার কারণে লানতি ইউসুফকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
উল্লেখ্য, কথিত রাজ্জাক বিন ইউসুফ হযরত শাহজালাল, শাহপরানসহ বাংলাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আউলিয়ায়ে কিরামকে নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্যে কটূক্তি করে আসছে। এমনকি সে এ জমিন থেকে হযরত মঈনুদ্দীন চিশতি রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত শাহ্পরান রহমতুল্লাহি আলাইহিসহ ওলীদের মাজার লাথি মেরে গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। তার এ বক্তব্য আউলিয়ায়ে কেরামের শানে বেয়াদবিমূলক ও অত্যন্ত ধৃষ্ঠতাপূর্ণ।
কসরে হাদী খানকা শরীফ
দুরাচার আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ কর্তৃক আল্লাহর ওলীদের প্রতি অশালীন ভাষা প্রয়োগ তার নিজের ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন, কসরে হাদী খানকার খলিফা, শাহ্ সূফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদী। বিবৃতিতে তিনি বলেন, আল্লাহর ওলী হযরত শাহজালাল ও হযরত শাহ পরান (রহ.)সহ খাজা মঈনউদ্দিন চিশতী, হযরত গোলাপশাহ্ সম্পর্কে অত্যন্ত জঘন্য ধরনের গালি দিয়েছেন যা উচ্চারণের অযোগ্য। এ দুরাচার আব্দুর রাজ্জাকের মনে রাখা উচিত বাংলাদেশের তৎকালীন নায়ক রহমান তার একটি পা হারিয়ে পঙ্গু হয়ে তার অভিনয় জীবনের সমাপ্তি হয়েছিল শুধুমাত্র হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের দিকে তাচ্ছিল্যভাবে পা দিয়েছিলেন বলে। তাই আমরা বলতে চাই সাবধান হয়ে যান ওলিদের দুশমন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত সালাফিরা। আল্লাহর ওলি এবং তাঁদের মাজার নিয়ে কটূক্তি করলে ওলিপ্রিয় মুসলমানরা তোমাদের ছাড় দেবো না। সমূলে উৎখাত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।