পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নগরজীবনের ব্যস্ততা, যানজটসহ নানা ঝক্কিঝামেলা থেকে বেঁচে থাকতে ক্রমেই অনলাইনমুখী কেনাকাটায় ঝুঁকছে মানুষ। অনলাইন মার্কেটে কেনাকাটার আগ্রহ বৃদ্ধি হওয়ার কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে কেনাবেচার ওয়েবসাইট ও ফেইসবুক পেইজ। বিনাপূঁজি ও ঝুঁকিহীন হওয়ায় নারী-পূরুষ সকল ধরণের উদ্যোক্তায় যুক্ত হয়েছেন এতে। তবে নতুন অর্থবছরে কেনাকাটার ক্ষেত্রে বাড়তি খরচের ক্ষেত্র তৈরি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেটভিত্তিক কেনাকাটা ই-কমার্সকে (অনলাইন ব্যবসা) ভ্যাটের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ফেইসবুকের মাধ্যমে কেনাকাটাসহ সব ধরনের ই-কমার্সের ওপর অভিন্ন ৫ শতাংশ হারে ভ্যাটের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন বর্তমানে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পণ্য ও সেবার ক্রয়-বিক্রয় যথেষ্ট বেড়েছে। এই পরিসরকে আরও বৃদ্ধি করতে ‘ভার্চুয়াল বিজনেস’ নামের একটি সেবার সংজ্ঞা সৃষ্টি করা হয়েছে। অনলাইন ভিত্তিক যেকোনো পণ্য-সেবা ক্রয়-বিক্রয় বা হস্তান্তরকে এই সেবার আওতাভুক্ত করা সম্ভব হবে। তাই ভার্চুয়াল বিজনেস সেবার ওপর ৫ শতাংশ হারে মূসক (ভ্যাট) সংযোজন করার প্রস্তাব করছি।
এর আগে ২০১৫ সালেও প্রস্তাবিত বাজেটে ই-কমার্সের ওপর ৪ শতাংশ ভ্যাট রাখা হয়েছিল। অবশ্য পরে এটি বাদ দেওয়া হয়। এ ধরনের ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা আইটি ও ই-কমার্সকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু পরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর দাবিতে অর্থমন্ত্রী এই খাতকে শৈশব সময় ধরে ভ্যাট প্রত্যাহার করেন। এরপর দুই অর্থবছরে এই খাতে আর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।
ই-কমার্স ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিন ২০ লাখ মানুষ মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করছেন। বার্ষিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে এই বাজারের আকার এখন প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। দেশে বর্তমানে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৫৯ লাখ। সেই তুলনায় ই-কমার্স ব্যবহারকারীর সংখ্যা কম হলেও ভবিষ্যতে এই সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হয়।
তবে ভার্চুয়াল বাণিজ্যে মূসক আরোপের প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। তিনি বলেন, অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা ই-কর্মাস ও এফ-কমার্সে এ ধরণের কর আরোপ করা হলে উদীয়মান এ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ খাতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। বর্তমানে দেশে এক হাজারের বেশি ই-কমার্স কোম্পানি, ফেইসবুকভিত্তিক এফ-কমার্স প্রায় ২৫ হাজার এবং এক হাজারের মতো অনলাইন শপ রয়েছে জানিয়ে তমাল বলেন, ই-কমার্স ও এফ-কমার্স ছাড়াও অন্যান্য নানা ধরণের ভার্চুয়াল ব্যবসা সেবাও রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।