Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দাম বাড়বে আমদানির কমবে দেশিয় মোবাইল ফোনের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৮, ৮:৩৮ পিএম

সরকার দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনকে গুরুত্ব দিতে চায়। দেশে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে চায় এ খাতে। এবারের বাজেটে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে মোবাইল ফোনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে মোবাইল ফোন সেটকে উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি সুবিধা দিয়ে একটি আলাদা প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব করছি। এ ছাড়া স্থানীয় মোবাইল উৎপাদনের ওপর সারচার্জ অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করে মোবাইল সেট আমদানি পর্যায়ে ২ শতাংশ সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করছি। তিনি বলেন, বিগত অর্থবছরে স্থানীয় পর্যায়ে সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক প্রতিষ্ঠান সেলুলার ফোন উৎপাদন ও সংযোজন শুরু করেছে। এ খাতে সেলুলার ফোন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কতিপয় কাঁচামালে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করছি।
অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী, দেশে যদি মোবাইল ফোন উৎপাদনের কারখানা বা কার্যক্রম চালানো হয়, তবে উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি পাওয়ার জন্য আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল উৎপাদন করলে সারচার্জ অব্যাহতি মিলবে। তবে আমদানি পর্যায়ে ২ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা হলে বিদেশ থেকে আমদানি করা ফোনের দাম বেড়ে যেতে পারে। এর বাইরে মোবাইল ব্যাটারির চার্জারের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তাই সব মিলিয়ে মোবাইল ফোনের দাম কিছুটা বাড়তে পারে। তবে এখনো দাম বাড়ার বা এর প্রভাব সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি কয়েকটি মোবাইল ফোন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে দেশে ৯ হাজার কোটি টাকার ৩ কোটি ৪৪ লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি করা হয়। বিএমপিআইএর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালের চেয়ে ২০১৭ সালে ৩০ লাখেরও বেশি মোবাইল ফোন আমদানি করা হয়, যেখানে ২০টি ব্র্যান্ড তাদের নতুন সব হ্যান্ডসেট নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল। এ বছর বাংলাদেশে ফোরজি চালু হয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে স্মার্টফোনের বিক্রি আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাড়তে পারে।
মোবাইল ফোন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল আমদানিতে সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিতে হচ্ছে। এ শুল্ক বেশিরভাগ পণ্যর ক্ষেত্রে এক শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। মুহিত বলেন, একই সাথে দেশে তৈরি হয় না এমন সফটওয়্যার যেমন- ডাটাবেইজ, প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যার আমদানিতে শুল্ক সর্বক্ষেত্রে ৫ শতাংশে হ্রাসের প্রস্তাব করছি। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার উপর ৪ দশমিক ৫ শতাংশ এর স্থলে ৫ শতাংশ হারে মূসক বা ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোবাইল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ